বাংলার ভোর ডেস্ক
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা কাজ করেছে বা উসকে দিয়েছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। সে সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক যে–ই হউক—তা বিবেচনায় নেওয়া হবে না।’ সোমবার বিকেলে তথ্য ভবনের সম্মেলনকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে যদি কোনো অবিচার করা হয়, সে বিষয়টিও আমরা দেখব। তাকে যদি অন্য কোনো মামলায় দেওয়া হয়, যেটাতে তিনি যুক্ত ছিলেন না, সে বিষয়েও আমরা দেখব। যার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহেই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ঘোষণা হতে পারে। আমরা ইতিপূর্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলেছি, সে বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটা শুধু মুখের কথা নয়, কাজে বাস্তবায়ন করতে চাই। এর জন্য একটা নীতিমালা প্রয়োজন। নীতিমালার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিশন গঠিত হবে। আমি আশা করছি, হয়তো আগামী সপ্তাহে গণমাধ্যমের কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ থেকে দেশে আসলেই, কমিশনের ঘোষণা আসবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই—গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হবে কতটুকু? স্বাধীনতায় কোনো নিয়ন্ত্রণ চলে না। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে কি ফ্যাসিস্টদের পক্ষে প্রচারণা করা যাবে? গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ করা যাবে কিনা আমি আপনাদের কাছে সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম।’
নাহিদ বলেন, সংবাদপত্র শিল্পে অনেক সমস্যা রয়েছে। অডিট, বিজ্ঞাপন ও বিল প্রদান ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।