পাইকগাছা সংবাদদাতা
খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি কলেজের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস চেয়ারম্যান, দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিশেষজ্ঞ পরীক্ষক আনোয়ার আলদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের কনফারেন্স কক্ষে অধ্যক্ষ ও পর্ষদের সদস্য সচিব হাবিবুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় এই সভায় কলেজের সার্বিক কার্যক্রম ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
পর্যালোচনাকালে দেখা যায় বিগত ১৬ বছর যাবত কলেজের উন্নয়নের বদলে বেপরোয়া লুটপাট ও আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। আর্থিক অবস্থা শূন্যের কোঠায়।
কলেজের মেয়েদের কমনরুম, ল্যাবরেটরি, হোস্টেল, ক্লাস রুম, অভ্যন্তরীণ রাস্তাসহ প্রায় সবকিছুই দৈন্যদশায়। এই করুণ পরিস্থিতিতে কলেজের আর্থিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করা এবং দক্ষিণ খুলনার শ্রেষ্ঠ কলেজে উন্নীত করার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এক কোটি টাকার আর্থিক ফান্ড গড়তে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এস মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজকে সমন্বয়ক করে ‘কপিলমুনি কলেজ কল্যাণ ফান্ড’ সৃজন করা হয়েছে। একই সাথে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া কলেজের রাস্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ মাস্টার্স পর্যন্ত উন্নীতকরণ এবং সমাজ কর্ম বিষয় অনার্স চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৫৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী কলেজটিকে সার্বিক উন্নয়নে একটি মাস্টারপ্ল্যানও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার আব্দুল মজিদ, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তহিদুজ্জামান মুকুল, শেখ দ্বীন মাহমুদ, সাবরিনা আজমী স্বর্ণা, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক শফিউল আযম, শারমিন সুলতানা, আকরাম হোসেন জোয়াদ্দার, শিরিন সুলতানা, আব্দুল কুদ্দুস, সাংবাদিক পারভেজ মোহাম্মাদ, জিএম, আমিনুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের আহবায়ক এইচএম শফিউল ইসলাম এস্কেন্দার মির্জা, আবু হুরাইরা বাদশা, অ্যাডভোকেট আব্দুল হক এসকেন্দার, আবুল কাশেম হাজরা, যুবদল নেতা আবুল হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি দেবেন ঘোষ ও জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন। এদিকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রথম সভায় কপিলমুনি কলেজ উন্নয়নকল্পে পরিচালনা পরিষদের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীও বিশিষ্টজনদের নিয়ে কপিলমুনি কলেজ উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি ও অবৈধ ভোটের পতিত এমপি নুরুল হকের নামে কলেজ মাঠের নামকরণ বাতিল করে কপিলমুনি কলেজ মাঠ নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।