বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে খালুর দুই চোখ তুলে নেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মো. সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ‘প্রাক্তন স্ত্রীর সাথে খালুর পরকীয়া সম্পর্কের’ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাদ্দাম এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। গ্রেফতার সাদ্দাম যশোর শহরের বকচর বিহারী কলোনি এলাকার শাহজামালের ছেলে। ঘটনার শিকার শহিদুল ইসলাম (৫৫) বকচর কবরস্থান পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বকচর করিম তেল পাম্প এলাকায় শহিদুল ইসলামের চোখ তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত সাদ্দামকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে যশোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, বকচর এলাকায় শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির দু’ চোখ উপড়ে ফেলার খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত আসামি সাদ্দামকে পুলিশ শহরের পালবাড়ি খয়েরতলা মোড় থেকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, ভিকটিম শহিদুল ইসলাম তার (সাদ্দাম) আপন খালু। দীর্ঘদিন ধরে সাদ্দামের সন্দেহ হয়, তার খালুর সাথে তার স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। দুই মাস আগে প্রিয়া খাতুনের সাথে তার ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। তার খালু শহিদুল তাকে মাঝে মাঝেই বলে, তার উপর জীনের ভর রয়েছে। আর সেই জীনের মাধ্যমে ভর করে সে তার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এই কথাবার্তা শোনার পর আসামি সাদ্দাম উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তার খালু ভিকটিম শহিদুল ইসলাম যে চোখ দিয়ে তার স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছে সেই চোখ উঠিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে শহরের বকচর এলাকার করিম পাম্পের সামনে শহিদুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে সাদ্দাম তার কাছে যায় এবং দুজনে কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে সাদ্দাম তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দুই চোখ তুলে নেয়। এ সময় শহিদুল ইসলাম চিৎকার শুরু করলে সাদ্দাম পালিয়ে যায়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী আরও জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও এ ঘটনার অন্যকোনো কারণ বা এর সাথে অন্যকেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার, যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।