বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শীতের সকালে মায়ের সাথে উদীচীর হাতেখড়ি উৎসবে এসেছে জিসান আহমেদ নামে এক শিশু। তালপাতায় অ আ ক খ লেখার আনন্দ তাকে উৎসাহিত করছে। এর আগে কখনও এমন উৎসব করে বর্ণ লেখা শেখা হয়নি তার। মায়ের কাছে বাড়িতে স্লেটে বর্ণ লেখা শেখা শুরু তার। জিসান আহমেদ আধো আধো কন্ঠে বলেন, আমি খুশি। পাতায় অ, আ লিখেছি। অনেক আনন্দ লাগছে।

শনিবার সকালে যশোর জেলা উদীচীর কার্যলয়ে হাতেখড়ি উৎসবে এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন আগত অনেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এদিন হাতেখড়ি উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ শৈলেশ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উদীচী যশোরের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব।

উপস্থিত ছিলেন, উদীচী যশোরের উপদেষ্টা হাবিবা শেফা, ইলাহদাদ খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, অশোক রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদৌলা, সাইফুজ্জামান মজু, ডা. হারুন উর রশীদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ যশোরের অধ্যাপক ফজলুর রহমান, ডা. মিনহাজুর রহমান, প্রকৌশলী আবু হাসান প্রমুখ।

অতিথিবৃন্দরা হাতেখড়ি উৎসবে আগত শিক্ষার্থীদের যত্ন সহকারে তালপাতায় বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা লেখা শেখান।
হাতেখড়ি উৎসবে আসা তাসকিয়া তাবাস্সুম নামে এক শিক্ষার্থী বলে, তালপাতায় বর্ণ লিখেছি। এক কাকু আমার হাত ধরে লিখে দিয়েছে। আমি তালপাতা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। অনেক মজা হয়েছে।

মালিহা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, সকাল বেলা বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি হাতেখড়ি উৎসবে। অনেক বাচ্চাদের সাথে মিশে বর্ণমালা লিখেছে। বাসায় আমি নিজে বাচ্চাটাকে লেখা শেখায়। ছোটবেলায় আমরা বাবা দাদাদের কাছে তালপাতায় লেখার গল্প শুনতাম। এই যুগে এসেও উদীচী যশোরের কল্যাণে আমরা সেটা আমাদের বাচ্চাদের মাধ্যমে দেখছি। এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version