বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে যশোরের পাম্পগুলোতে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ পাম্পে ডিজেল শেষ হয়ে গেছে এবং দুপুর নাগাদ পেট্রোলও ফুরিয়ে যাবে। ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে যশোরের পাম্পগুলোতে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। পেট্রোল পাম্প মালিকরা জানিয়েছেন, খুলনার ট্যাংকলরি শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পুরোপুরি পড়েছে যশোরের ৭১টি পাম্পে। তারা জানান মঙ্গলবার সকালে অধিকাংশ পাম্পের ডিজেল শেষ হয়ে গেছে এবং ৩০টি পাম্পে সম্পূর্ণ তেল নেই। বাকি পাম্পগুলোতে অকটেন ও পেট্রোল মিশিয়ে সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে, তবে দুপুরের পর এই সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়েছেন পাম্প মালিকরা।


যাত্রীক পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর জানান, তাদের পাম্পে পেট্রোল ও অকটেনের ধারণক্ষমতা ২০ হাজার লিটার, আর ডিজেলের ধারণক্ষমতা ১০ হাজার ৬৭০ লিটার। সবশেষ বৃহস্পতিবার তারা তেল উত্তোলন করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ডিজেল শেষ হয়ে গেছে, তবে পেট্রোল ও অকটেন মিলিয়ে ২ হাজার লিটার তেল অবশিষ্ট রয়েছে, যা দিয়ে তারা দুপুরের মধ্যে সার্ভিস চালু রাখতে পারবেন।

মনির উদ্দিন পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার আক্তার হোসেন জানান, তাদের ডিজেলের ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার লিটার, যা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। ১০ হাজার ৮৬৮ লিটার পেট্রোল এবং ৬ হাজার লিটার অকটেনের মধ্যে সামান্য তেল অবশিষ্ট রয়েছে, যা দিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত সার্ভিস চালু রাখা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি খুলনা বিভাগের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল জানান, যশোরের ৭১টি পাম্পের মধ্যে ৩০টি পাম্প সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে গেছে এবং অন্যান্যগুলোও শূন্য হওয়ার পথে। খুলনার ট্যাংকলরি শ্রমিকদের সাধারণ সম্পাদক জামিন না পাওয়ার পর এই সংকটের সমাধান হওয়া কঠিন বলে তিনি মনে করছেন। এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন যে, তেল না পাওয়ায় তাদের অনেকের নির্ধারিত ট্রিপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version