বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসকের চত্বর থেকে গাড়ি ছুটে চলেছে। গাড়ির ভিতরে দারুণ উৎসাহ নিয়ে বসে আছেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। গন্তব্য পুরাতন কসবার টালিখোলা এলাকা। টালিখোলার একটা বাড়িতে বাস করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক ল্যান্স কর্পোরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সামছুদ্দিন। তিনি একাধারে ব্রিটিশ আর্মি, পাকিস্তান আর্মি ও বাংলাদেশ সেনাবাহীনিতে চাকরি করেছেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে সামছুদ্দিন নাতিছেলে বোরহান উদ্দীনদের বাসায় কাটাচ্ছেন অবসর। এই খবর পেয়েছেন জেলা প্রশাসক। দুপুরে খবর পেয়েই ছুটে গেছেন তিনি। কাউকে কিছু না বলেই মো. সামছুদ্দিনের ঘরে প্রবেশ করেন জেলা প্রশাসক। পাশে বসে আবেগে আপ্লুত হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন । কুশল বিনিময় করেন। দীর্ঘ সময় কথা বলার পর হাতে তুলে দেন উপহার সামগ্রি। ঈদে নতুন পোশাক কেনার জন্য নগদ অর্থও তুলে দেন। পরে দোয়া নিলেন বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকের কাছ থেকে।

সামছুদ্দিনের নাতিছেলে বলেন, জেলা প্রশাসক খবর পেয়ে আমাদের বাসায় এসেছেন। আমরা অনেক খুশি। উনাকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শত ব্যস্ততার পরও উনি আমার নানাভাইয়ের খবর নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সারাদেশে ৭ জন ব্রিটিশযোদ্ধা রয়েছেন। তার মধ্যে আমাদের যশোরে একজন আছেন। উনার বয়স শতবছর। আমি আজই জানতে পেরেছি আমাদের যশোরে এমন একজন মানুষ রয়েছেন। খবর পেয়েই আমি উনাকে দেখতে এসেছি। নিজেকে ধন্য মনে করছি উনার সাথে দেখা করতে পেরে। আমরা উনার সম্পর্কে জেনেছি। উনি একজন যোদ্ধা ছিলেন। একাধারে তিনটা ভিন্ন ভিন্ন দেশের অধীনে থেকে সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। আমাদের যশোরে ১০ জন ব্রিটিশ সৈনিকের স্ত্রী বেঁচে আছেন। আমরা চেষ্টা করবো উনাদের পাশে থাকার।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version