বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মাঘের দ্বিতীয় সপ্তাহে যশোরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। গেল কিছুদিন শীত একটু জেঁকে বসছেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে চারদিক। একই সাথে হিমেল বাতাসে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দুপুরের পরে সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তীব্রতা না থাকাতে দুরূহ হয়ে পড়ে জীবনযাপনে। যশোর বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসের তথ্যমতে, যশোরে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথ। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল বেলা সড়কের যানবাহনগুলো চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে। কেউ সবজি খেতে সংগ্রহ করছেন সবজি, কেউ বা তা ভ্যানে করে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন বাজারে। আবার কেউবা হালচাষ করছেন কৃষিজমিতে। অনেকেই বোরো রোপনের জমি পরিচর্যা ও রোপন করতেও দেখা গেছে। সকালে মনিরামপুর থেকে শহরে আসা আব্দুল হক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আজকে খুপ ঠান্ডা বাপু। ফজর থেকে ঠান্ডা। আবার ঘন নের (কুয়াশায়) কিছু দেখা যায় না।’
পুলেরহাট এলাকার জমিতে সকালে বোরো ক্ষেত চাষে ব্যস্ত নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা পড়ছিলো। বাতাসের সঙ্গে রোদ ছিল। এ জন্য শীতটা কম মনে হয়েছে। তবে আজ ভোর রাত থেকেই কুয়াশায় ১০ হাত দূরেও দেখা যায় না। কুয়াশার কারণে আজকে বেশি শীত লাগছে।’
শহরের সার্কিট হাউজের সামনে এক রিকসাচালক জানান, ‘সকাল থেকে ছিলো কুয়াশা। রোদের দেখা ছিলো না, দুপুরের পরে কিছুটা রোদ উঠলেও তাপ ছিলো না। তাই শীত কমেনি। মনে হচ্ছে ক’দিন এমন থাকবে।’
এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, এবার যশোরে তেমন তীব্র শীত ও কুয়াশা দেখা মেলেনি। ফলে সবজি বা রোরো ধানের বীজতলা তেমন একটা নষ্ট হয়নি। এখন কুয়াশা বেশি হলে তেমন একটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version