বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘যৌনকর্মী’ এক নারীর প্রেমে পড়েছিলেন বাপ্পী সরদার ও রানা সরদার নামে দুই যুবক। দুজনই বাস চালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে কাজ করতেন। একই নারীকে দুজনের প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। প্রেমিকাকে পেতে বন্ধু বাপ্পীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রানা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী যশোরে মণিহার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের ভেতর বাসচালকের হেলপার বাপ্পীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে রানা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতার রানা সরদারের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে হত্যার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শনিবার অভিযুক্ত রানা সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রানা যশোরে সদর উপজেলার হুগগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত্যু আরিফুল সরদারের ছেলে। নিহত বাপ্পি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে। রানাসহ অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা ইদ্রিস আলী সরদার।

কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশ বাঘারপাড়ার ধলগা মোড়ে একটি তেল পাম্প থেকে শনিবার বিকেলে রানা সরদারকে আটক করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটক রানা স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করেন। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা চাকু ও পরিবহনটি জব্দ করা হয়।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানিয়েছে, যশোর শহরের লোহাপট্টির পতিতা পল্লীর এক মেয়ের (যৌনকর্মী) সাথে রানার প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং বিয়ে করতে চায়। পরে ওই মেয়েটির সঙ্গে বন্ধু বাপ্পীর পরিচয় করিয়ে দেয় রানা। একপর্যায়ে বাপ্পি মোবাইল ওই মেয়েটির সাথে কথা বলতে থাকে। দুই বন্ধুর মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। প্রায় দুজনের নাম্বার ব্যস্ত থাকতো। রানা সন্দেহ করে বাপ্পিকে এবং পরিকল্পনা করতে থাতে।

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে গত ১৬ নভেম্বর গভীর রাতে বাসের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বাপ্পিকে চাকু দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করে রানা। গ্রেফতার রানাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version