বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কথিত নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হেসেন খোকনসহ ৯২ নেতাকর্মীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তশেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওয়াহিদুজ্জামান। অপর অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন, মারুফুল ইসলাম মারুফ, মনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম, শফিয়ার রহমান, এম তমাল আহমেদ, আনছারুল হক রানা, মাঞ্জারুল হক খোকন, আমিনুর রহমান মুধু, নাজমুল হোসেন বাবুল, রাজিদুর রহমান সাগর, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, আব্দুস সামাদ আজাদ, একে শরফুদ্দৌলা ছটলু, সৌদ আল রশিদ ড্যানি, মীর মিজান, সাইদুর রহমান, শিমুল হোসেন কুদ্দুস, জাকির হোসেন, রিপন হোসেন বাহাদুর প্রমুখ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ যশোরের সদরের হামিদপুর বাজারের পাশে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করছিলো। ওই সময় লিটন ট্রাভেলস ও শিবচর স্টার ডিলাক্সের যাত্রীবাহী বাস চেকপোস্টে থামানোর সংকেত দেয়া হয়। গাড়ির সামনে পুলিশ দেখে দুইটি বাসের ভেতর থেকে অনেকেই জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। তখন দুই বাসে থাকা ৭৮ জনকে আটক এবং তল্লাশি করে ককটেল, পেট্রোল ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই আমিনুল ইসলাম আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তকালে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ২৪ জনকে আদালতে মাধ্যমে আটক দেখানো হয়েছিলো। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ওই ৯২ জনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে সম্প্রতি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
