খুলনা অফিস
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লালন শাহ হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল হাফিজ মিয়ার সোমবার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, সাব্বির হোসেন, আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
একই সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। রোববার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৪/৫জন শিক্ষার্থী আহত হন।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল হাফিজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত রোববার রাতে লালন শাহ হলের ছাত্রদের দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় ২১ জনকে সনাক্ত করে হল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদক পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Exit mobile version