নড়াইল সংবাদদাতা
নড়াইলে দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন, ও সাংবাদিক সহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪শ’ থেকে ৫শ’ জনের নামে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল আমলী আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনে গুলিবিদ্ধ মোহাম্মাদ সোহান বিশ্বাসের চাচা বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ ওয়াহিদুজ্জামান।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. কাজী জিয়াউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে নড়াইল সদর থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান নিলুকে।

এছাড়া অন্যান্য আসামিদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ কুন্ডু মিটুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিষ কুমার বিশ্বাস, মাহামুদুল হাসান কায়েস, সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, যুবলীগের সভাপতি গাউছুল আজম মাসুম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল মাহমুদ তুফান, মরফিদুল হাসান ওরফে শিল্পী মিনা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক সপ্নিল শিকদার নীল, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সধারণ সম্পাদক ও আউড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম পলাশ, সভাপতি তরিকুল ইসলাম উজ্জল, সময় টিভি সাংবাদিক সৈয়দ সজিবুর রহমান সবিবসহ মোট ৭২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪শ থেকে ৫শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাদীর ভাইপো মোহাম্মাদ সোহান বিশ্বাস ৪ আগস্ট মিছিল নিয়ে মাদ্রাসা বাজার থেকে নড়াইল শহরের দিকে যাওয়ার পথে দুপুর দেড়টার দিকে মাদ্রাসা বাজারের পশ্চিম পাশে তেলের পাম্পের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরাসহ অজ্ঞাত নামা ৪শ থেকে ৫শ জন তাদের গতিরোধ করে।

পরে মামলার প্রধান আসামি নিজাম উদ্দিন খান নিলুর হুকুমে, মাহমুদুল হাসান কায়েস শর্টগান দিয়ে ছাত্র জনতার উপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে বাদীর ভাইপো সোহানের বুকের বাম পাশে, পেটের বাম পাশে এবং বাম পায়ে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তখন স্বপ্নীল শিকদার নিল ও আসামী গাউছুল আজম মাছুম শর্টগান দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলি লেগে আরো ৩ জন আহত হয়।

পরে সোহানকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

পরে খুলনা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সোহান চিকিৎসাধীন।

এছাড়া অন্যান্য আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা ও থানায় মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version