বাঘারপাড়া সংবাদদাতা

ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, আলমসাধু মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বাঘারপাড়ার তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ওসি শওকত হোসেনের টোকেনের মাধ্যমে এই মহাসড়কে চলাচল বৈধতা পেয়েছে। বিভিন্ন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে গত ছয় মার্চ তারিখে হাইওয়ে থাানর ওসি যোগদান করার পর থেকে রাস্তায় বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। এই ব্যাপারে একাধিক যান চালকের সাথে কথা হয়। তাদের ভাষ্য, তিনি প্রতিনিয়ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। অথচ অবৈধ যানবহনগুলো আটক করে তাদের মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টোকেনের মাধ্যমে মাসিক চুক্তি গাড়ি প্রতি ৬ শত টাকা নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ছাতিয়ান তলা, চাড়াভিটা, ধলগা রাস্তার মোড়, ভিটাবল্যা, ভাংগুড়া ও তুলারামপুর বাজারসহ আরো অধিক বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে এদের মাধ্যমে এই ছোট-বড় যানবাহনগুলো টোকেনের মাধ্যমে তারা নিরাপদভাবে চলাচল করছে।

ওসি শওকত হোসেন যোগদানের পর রাস্তায় এসে যানবাহন চালকদের সাথে অশ্লীল আচরণ করেন। অবৈধ গাড়িগুলোকে বৈধতা দিয়ে যানচলাচল করার অনুমতি প্রদান করেন। ওসি শওকত হোসেনের সাথে কথা হয় তিনি বলেন, প্রতি মাসে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নজরানা দিতে হয়। এ কারণে আমি কাউকে ছাড় দেব না। রাস্তায় অবৈধ গাড়ি চালাতে হলে আমি যা বলব চালকদের শুনতে হবে অন্যথায় গাড়ি আটক করে মামলা দিতে বাধ্য হবো।

এদিকে কর্মকর্তার কথামত প্রতি মাসে টোকেনের মাধ্যমে অবৈধ নসিমন-করিমন চালছে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের সহকারী আইজিপি শাহাবুদ্দিনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ওসি শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে হাইওয়ে পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমরা তাকে থানায় চাঁদাবাজি করতে পাঠায়নি। তার বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Exit mobile version