বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের দখল হওয়া নদী পরির্দশন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মকসুমুল হাকিম। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর শহরতলীর পুলেরহাট এলাকায় মুক্তেশ্বরী নদী পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিদর্শনের সূচনা করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই তিনি টিম নিয়ে পরিদর্শনে এসেছেন। যশোরের মুক্তেশ্বরী, টেকা, ভৈরবসহ অসংখ্য নদী খাল দখল করে ব্যক্তি কাজে ব্যবহার করছে ভূমিদস্যুরা। এতে করে যশোর শহরসহ বিভিন্ন এলাকা সামান্য্য বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার শিকার হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নদী রক্ষার আন্দোলনে জড়িতদের আবেদন ও জেলা প্রশাসনের তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তেশ্বরী ও টেকা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরির্দশন করতে যশোরে অবস্থান করছেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোর শহরতলীর পুলেরহাট এলাকায় মুক্তেশ্বরী নদী পরিদর্শনের সূচনা করেন তিনি। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান ওই অংশে আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নদীর একটি বৃহৎ অংশ দখল করে ব্যবহার করছে। এরপর পরিদর্শন টিম স্থানটি ঘুরে দেখেন এবং জমি উদ্ধারে সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ সময় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই তিনি টিম নিয়ে পরিদর্শনে এসেছেন। এর আগে যশোর সার্কিট হাউসে তার কাছে স্মারকলিপি দেন মুক্তেশ্বরী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা মুক্তেশ্বরী নদী ও নদীর খাল সমূহের দখলদার উচ্ছেদ, খনন এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস, সদস্য সচিব রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, তসলিম উর রহমান, প্রকৌশলী আবু হাসানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Share.
Exit mobile version