বিবি প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যশোরের ছয়টি আসনে ৩১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার প্রতীক বরাদ্দ শুরু করেন। দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীদের মধ্যে পছন্দের প্রতীকও বরাদ্দ করা হয়েছে।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ট্রাক, এসএম হাবিবুর রহমান ঈগল, জাতীয় পার্টির মুফতি ফিরোজ শাহ লাঙ্গল; বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল ডাব, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের শামছুল হক টেলিভিশন প্রতীক পেয়েছেন।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্য্য নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ঈগল, জাতীয় পার্টির এমএ হালিম লাঙ্গল, ইসলামী ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী মিনার, তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা সোনালি আঁশ প্রতীক পেয়েছেন।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদার নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম আমীর হোসেন কাঁচি, আজিজুল ইসলাম ঈগল, জাতীয় পার্টির জিএম হাসান (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন।
এদিকে, প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রার্থীরা জানিয়েছেন, এখন থেকেই তারা নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবেন। জনগণের মধ্যে তাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। একটি সুষ্ঠু-সুন্দর ভোট হলে তারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে। সেটা না হলে মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তারা।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, ‘বৈধ ৩১ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জন ছিলেন বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী। এ ছাড়া ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সব প্রার্থীকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে যশোর পুলিশ বদ্ধপরিকর।’