বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে অস্ত্রের মুখে সনাতন ধর্মাবলম্বী ৭ নারী-পুুরুষকে বেঁধে রেখে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় জুয়েলারি দোকানের সিন্দুক ভেঙে প্রায় চার লাখ টাকার স্বর্ণ ও রূপার অলংকার এবং এক নারীকে মারপিট করে গলার স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেছে ডাকাত দল। রোববার ভোর চারটার দিকে যশোর অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মশিয়াহাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অভয়নগর থানার ওসি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত জুয়েলারি দোকানের মালিক গৌতম কর্মকার জানান, রোববার দিবাগত রাতে তিনটার দিকে তার দোকানের পাশে সেলুনের মালিক জয় রায় তাকে ফোন করে ডাকাতের আক্রমণের বিষয়টি জানান। তিনি ভয়ে বাড়ি থেকে বের হননি। এ সময় বাজারের আশপাশে বসবাসকারি বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে ডাকাতদল তাদের বেঁধে রাখে। তারা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের বিকাশ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস, অমর বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বৈশাখী বিশ্বাস, তৌশিক দাস, অণিমেষ বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাস। এসময় প্রতিমা বিশ্বাসকে মারপিট করে গলার স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেওয়া হয়। এ সময় তার (গৌতম) দোকান থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও রূপার অলংকার নিয়ে যায় ডাকাত দল। ডাকাত দল চলে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।

মশিয়াহাটি বাজার কমিটির সভাপতি মিহির মন্ডল বলেন, ডাকাতির ঘটনায় আতংকিত। বাজারের নিরাপত্তা জোরদারে আজ (সোমবার) কমিটির জরুরি সভা আহবান করা হয়।

এ বিষয়ে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের শান্তনা দিয়েছেন। একই সাথে জড়িতদের আইনে আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দস্যুতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিককে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Share.
Exit mobile version