বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ ও যশোর-৬ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা না নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ছোট রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদ মনোনীত যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের প্রার্থী জেসিনা মুর্শীদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই তারা সশরীরে রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে উপস্থিত হন। সন্ধ্যা ৫টার পর জানানো হয় যে অপেক্ষমাণ সকলের মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু ৫টা ৪০ মিনিটে তাদের জানানো হয় যে, তাদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে না।
জেসিনা মুর্শীদ দাবি করেন, আমরা দেখেছি ৫টা ৩৫ মিনিটেও রিটার্নিং অফিসার অন্য প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন।
আমাদেরটা কেন গ্রহণ করা হলো না জিজ্ঞাসা করলে তিনি শুধু বলেন, ‘আপনাদেরটা গ্রহণ করা হবে না’।
প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত জমা দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহণ না করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান বলেও অভিযোগ করা হয়। পরে দরখাস্ত গ্রহণ করা হলেও, রিটার্নিং কর্মকর্তার এমন আচরণে প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রার্থীরা স্পষ্ট জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার এই পক্ষপাতমূলক আচরণে তারা মনে করছেন এই নির্বাচন সঠিক ও নিরপেক্ষ হবে না। এই রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জেসিনা মুর্শীদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদ যশোর জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী আবু মুছা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি হুমায়ুন কবির মুরাদ এবং সম্পাদক তারেক হোসেন।
প্রার্থীরা দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
