বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত চিকিৎসক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করলেও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। হাসপাতালে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয় নাভারণ বাজারে ব্যক্তিগত চেম্বার করে অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসা করেন রোগীদের।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে নেই চাহিাদমতো জনবল। হাসপাতালে ২২টি মেডিকেল কর্মকর্তার পদ থাকলেও খাতা-কলমে রয়েছেন ৭ জন। কর্মরত রয়েছেন ৫ জন। বাকি ২ জন অন্যত্র ডিউটিতে থাকেন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা ৭৭ জন। সেখানে মাত্র ৩৫ জন কাজ করছেন। ২২ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর স্থলে আছেন ১০ জন।

এই হাসপাতালে প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। অর্থলোভী দন্ত চিকিৎসক ডা. আবু তাহের চিকিৎসা নিতে আসা দন্ত রোগীদের পরিপূর্ণ সেবা না দিয়ে নাম মাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে আসতে বলেন। কোন রোগী অপারগতা করলে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাড়িয়ে দেন। ডাঃ আবু তাহের নিজ উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত থাকায় প্রভাব খাঁটিয়ে রোগীদের অসৌজন্যমূলক আচরন করেন বলে জানা গেছে। শুধু চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগী নয় এই হাসপাতালে দায়িত্বরত সকল চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজা খাতুনও তার অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দন্ত রোগীরা জানান, আমরা গরীব মানুষ। অর্থের অভাব থাকায় সরকারি হাসপাতালে আসি। ডা. আবু তাহের আমাদের মতো গরীবদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। কোন রকম চিকিৎসা দিয়ে উনার নিজস্ব চেম্বারে আসতে বলেন। সেখানে আসতে না চাইলে অনেক খারাপ আচরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আবু তাহের বলেন, আমি রোগীদের সাথে এমন কোন খারাপ আচরণ করিনা। রোগীরা মিথ্যা বলছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজা খাতুন বলেন, ডা. আবু তাহেরের অসৌজন্যমূলক আচরণ সম্পর্কে আমিও কিছুটা জানি। অচিরেই বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলবো।

Share.
Exit mobile version