শ্যামনগর সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার শ্যামগরে খাল ইজারা বাতিল, দখল মুক্ত এবং খাল পুনঃখননের দাবি নিয়ে উপজেলার ৬ ইউনিয়নবাসী মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে রমজাননগর ইউনিয়নের আটকাঠা খাল, কৈখালী ইউনিয়নের বড় মৌ কাঠলা খাল, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের চরারচক খাল, ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নিমতলার খাল, আটুলিয়া ইউনিয়নের নগরকাঠি খাল এবং বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের শিমনখালীর খাল উন্মুক্তের দাবিতে এ মানববন্ধন করেন স্থানীয় বাসিন্দা, সিডিও ইয়ুথ টিম, উপজেলা এডভোকেসি কমিটি এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
জিফরসিআর প্রকল্পের সহযোগিতায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল এবং অপরিকল্পিত ও জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা না করে স্থানীয় তহশিল অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের দ্বারা খালের শ্রেণী পরিবর্তন করে বিলের ফসলি জমির ভিতর এবং বিল থেকে পানি নিস্কাশনের খাল বন্দোবস্ত দেয়ার ফলে আমাদের এলাকায় প্রায় প্রতি বছরই বৃষ্টির পানি জমে জলাদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বিজতলা, সবজি ক্ষেত, পুকুরের মাছ, মাছের ঘের, বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া একমাত্র মিষ্টি পানির আধার এই খালগুলো বন্দোবস্ত, ভরাট ও অবৈধভাবে দখল করে বাঁধ দেয়ার কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃষকরা ক্ষতি ও ভোগান্তিতে পড়েছে।
রমজাননগর ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, পাতড়াখোলা গ্রাম ও চাঁদখালী গ্রামের পাশে ধলের বিলের খাল জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কৃষকদের প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমির আমন ধানের বিজতলা পানিতে ডুবে দুই বার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে।
সিডিও ইয়ুথ টিমের সিনিয়র ভলেন্টিয়ার হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সিডিও’র নির্বাহী পরিচালক গাজী আল ইমরান, সিনিয়র সাংবাদিক আফজালুর রহমান, সিএনআরএস’র প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজিম আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়ন কর্মী মমিনুর রহমান, সিনিয়র ভলেন্টিয়ার আনিসুর রহমান মিলন, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, সোহরাব হোসেন, সিডিও ইয়ুথ টিম কৈখালী ইউনিটের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি, আটুলিয়া ইউনিটের সজিব হোসেন রনি, সরকারি মহসিন কলেজ ইউনিটের নুহা ইসলাম সহ অনেকে।
এ সময় স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্যবৃন্দ, উপজেলা এডভোকেসি কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের নেতৃবুন্দ উপস্থিত ছিলেন।
