বাংলার ভোর প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। হাদির মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক যশোর চৌগাছা সড়কে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরা— “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে?”, “যে ভারত খুনি পালে, সেই ভারত ভেঙে দাও”,

“ভারতীয় আধিপত্য ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”, “ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”,
“ইনকিলাব ইনকিলাব—জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ”, “আপোস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম” এবং
“মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”-এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন। প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসামা, জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী জালিস মাহমুদ, পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাফি এবং আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মিনহাজ।

বিক্ষোভে ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ওসামা বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারত পরিকল্পিতভাবে এ দেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে শরীফ ওসমান হাদিকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই-আগামী দিনে কেউ যদি বাংলাদেশকে ভারতের কলোনি বানাতে চায়, তবে বাংলাদেশের যুবসমাজ কখনো তা মেনে নেবে না। দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।

আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ—এখানে কোনো ভিনদেশি আধিপত্য চলবে না।”

এর আগে, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।

এনসিপি স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আহাদ ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে আমরা খবর পেয়েছি যে হাদি ভাই পরপারে চলে গিয়েছেন।’

Share.
Exit mobile version