বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে শহীদ পরিবারের সন্তানের বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ। শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। একই সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানের বড় ছেলে আকরাম হোসেন। তবে মামলার বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘হামিদপুরের ঘটনায় কেউই আমার সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলেননি। কাগজপত্রসহ থানায় এলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করা হবে।’

লিখিত অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানের বড় ছেলে আকরাম হোসেন বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বেয়াই নুরুল ইসলাম শিল্প ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ পরিশোধ না করায় দুই দশমিক ৯৭ একর জমি নিলাম করে ব্যাংক। সেই জমি কিনেছিলাম আমরা। পরবর্তীতে ওই জমি দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছিল। সবশেষ দখল নিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন দুই শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালান।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে পুরো বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঘরে রক্ষিত জমি কেনার নগদ ১০ লাখ টাকা, ৩০ ভরি সোনার গহনা, তিনটি গরু, ছয়টি ছাগল, প্রায় ৬০ টন ধান ও গমসহ কোটি টাকার মালামাল সাত-আটটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।’

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা তাদের নিলামে ক্রয় করা সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে এবং জুলুম নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে ‘প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়েও শঙ্কা’ প্রকাশ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজের ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version