কপিলমুনি সংবাদদাতা
ছাত্র আন্দোলন ও দেশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কপিলমুনিতে দোকান লুটপাটের ঘটনায় ১৯ আগস্ট জাতীয় ও আঞ্চলিক কিছু দৈনিকে ‘বন্ধের পথে কপিলমুনি ঐতিহ্যবাহী বাজার, চাঁদা ছাড়া দোকান খুলতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটিতে কপিলমুনি এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু বুধবার দুপুর ১২ টায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। গত ১৯ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সময় খবর ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায়, আমাকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ সময় তিনি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে তিনি প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত সন্তোষ সরকার, সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, জুলফিকার আলী জুলু, মাসুম হাজরা ও রায়হাননকে নিজের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী বলে জানান। তিনি দাবি করেন একটি কুচক্রী মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। খাল দখল, ঘের লুট ও হাজার হাজার মণ চিংড়ি মাছ জাল টেনে মারার যে কল্পকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তা আদৌও সত্য নয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানা, জনৈক ফারুকের নেতৃত্বে অসীম রায়ের মিষ্টির দোকান ও জনৈক গৌরাঙ্গ সাধুর নেতৃত্বে নির্মাণ বিপণী ও বিশ্বজিৎ সাধুর চালের আড়ৎসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। বরং লুটপাটের খবর পেে কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ সরকারসহ আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেয়া ও হামলা, লুটপাট বন্ধের জন্য বিশ্বজিৎ সাধুর দোকানে যেতে বলি। পাশাপাশি তিনি উক্ত ঘটনার সত্য ও অন্তরালের খবর গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
##

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version