তালা সংবাদদাতা

চায়না রানী ঘোষ। বাড়ি তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের ঝড়গাছা গ্রামে। দেশের সকলের প্রিয় এবং পরিচিত ফল ড্রাগন চাষ করে তিনি আজ সফলতার মুখ দেখেছেন। অল্প সময়ে টক-মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন চাষ করে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন এই নারী কৃষি উদ্যোক্তা।

সাতক্ষীরা অঞ্চলের কৃষিতে নতুন ড্রাগন ফসল চাষকে তিনি চ্যালেন্স হিসেবে গ্রহণ করে ২০২২ সালে দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন। চায়না ঘোষের ড্রাগন বাগান ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে তিনটি থেকে চারটি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল। বাগানে কাজ করছিলেন ২-৩ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে কয়েকজন গাছ থেকে পাকা ফল সংগ্রহ করছিলেন। অন্যরা ড্রাগন গাছের গোড়া পরিস্কার করছিলেন। বাগানটিতে প্রায় ৩৩০ টি কংক্রিটের খুঁটি

খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। একটি খুটি থেকে অন্য খুঁটির দূরত্ব সাত ফুট দৈর্ঘ ও ছয় ফুট প্রস্থ। বর্তমানে চায়না ঘোষের বাগন থেকে ড্রাগন ফল সাতক্ষীরা জেলা শহর ও পাটকেলঘাটা বাজারে যাচ্ছে। প্রতিকেজি ড্রাগন ফল পাইকারি ২০০ থেকে ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ফসল চাষ থেকে ফল বিক্রি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা লাগে।

চায়না ঘোষ জানান, আমি একজন নারী। নতুন ফসল হিসেবে ড্রাগন চাষ শুরু করায় অনেকে আমাকে পাগল বলে। আমি যখন ড্রাগন চাষ শুরু করি তখন উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি কর্মকর্তারা আমাকে পরামর্শ দিয়ে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে। আমি সাহস নিয়ে চাষ শুরু করি। এখন বেচা বিক্রি খুব ভালো। অন্য বছরের তুলনায় দাম কম থাকলেও সিজনের শুরুতে ভালো দামে বিক্রি হয়।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version