বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরীফ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ। একই সঙ্গে দলটি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার পত্রিকায় পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ এই শোক ও দাবি জানান। গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান হাদির মৃত্যু হয়।

বিবৃতিতে ইকবাল কবির জাহিদ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সরকারের অস্বচ্ছ ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন .. ..

মণিরামপুরে ধানের শীষকে দলিত সম্প্রদায়ের সমর্থন

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগর এলাকায় ওসমান হাদিকে সন্ত্রাসীরা মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। ওসমান হাদির মৃত্যুর দায় সরকার কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাস দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং বিপরীত দিকে হেঁটে দেশকে অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্ভীক সাংবাদিক, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরের উপর হামলা এবং প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ভবনসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, ময়মনসিংহে একজন হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি দায়ীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দায়িত্বহীন বক্তব্য এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি উঠলেও তিনি পদত্যাগ করেননি। সরকারের এ ব্যাপারে নির্বিকার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যারা ভোটাধিকারসহ জনগণের বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী সেই মহল হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি জিইয়ে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়।

বিবৃতিতে তিনি বর্তমান অবস্থায় দেশে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষসহ গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

Share.
Exit mobile version