নিজস্ব প্রতিবেদক, ডুমুরিয়া

ডুমুরিয়ার ১৮ মাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন গত বুধবার এ অভিযোগের শুনানি করেন। সেখানে অভিযোগের অনেক প্রমান মিলে যায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।অধিকতর তদন্তের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র থেকে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার ও তার আপনজন এবং আত্মীয়রা মিলে বিভিন্ন সময়ে কামিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা।

একাধিকবার এই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করা হলেও অদৃশ্য শক্তিতে পার পেয়েছেন। এবার প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক অধ্যক্ষের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ও অপসারণ চেয়ে দুটি আবেদন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। তারই প্রেক্ষিতে গত বুধবার সকাল ১০ টায় উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানী করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন। শুনানীতে একাধিক অভিযোগের সত্যতা মিলে।

সে কারণে অধিকতর তদন্তের জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাসকে সদস্য করা হয়েছে। আরেক তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান ও রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন।

কথা বললে অভিযোগকারী বাংলা বিভাগের প্রভাষক এম এম আলাউদ্দিন বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একাধিক দালিলিক প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছি। এ সময়ে অধ্যক্ষ তার স্বপক্ষে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। কলেজের আরেক প্রভাষক রবিউল ইসলাম দুঃখ করে বলেন আমি ২০ বছর যাবৎ বিনা বেতনে চাকরি করছি।

এরপর একের পর এক অধ্যক্ষকে টাকা দিয়েছি। কয়েকদিন আগে এমপিওভুক্তির জন্য গহনা বন্ধক রেখে এক লাখ টাকা দিয়েছি। এবারও আমাদের ৫ জনের নাম এমপিওভুক্তির তালিকায় দেয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন বাংলার ভোরকে বলেন দুপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী হয়েছে। বেশ কিছু অনিয়ম দুর্নীতি পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version