বাংলার ভোর ডেস্ক
বিএনপি উচ্চপর্যায়ে চলছে গভীর আলোচনা—চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যেকোনো সময়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ড. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিবিসি বাংলা বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে—অনেক দিন পর দেশে ফিরতে যাওয়া জুবাইদা রহমান মূলত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য সরাসরি চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতেই ঢাকায় আসছেন। দেশে পৌঁছে তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং চিকিৎসকদের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে লন্ডনে নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অত্যন্ত নাজুক। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং প্রশাসনিক পর্যায়ের নানা প্রক্রিয়া চলছে। পরিবার ও দলীয় নেতারা মনে করছেন, বিদেশে বিশেষায়িত চিকিৎসাই এখন তার সুস্থতার প্রধান ভরসা।
এদিকে বৃহস্পতিবার কাতার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে—খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে হলে তারা এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে প্রস্তুত। কাতারের এই ঘোষণা পুরো প্রক্রিয়ায় নতুন গতি এনে দিয়েছে বলে দলীয় ও কূটনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সব মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়েছেন।
সবশেষ বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার গত ২৪ ঘণ্টায় শারীরিক অবস্থায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না এলেও তিনি এখন স্থিতিশীল আছেন। চিকিৎসকদের মতে—এই স্থিতিশীলতা ‘ঝুঁকিমুক্ত’ নয়, বরং কোনো সময় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েই গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অঙ্গন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার প্রস্তুতি নিয়ে নানা আলোচনা জোরদার হয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছেন—জুবাইদা রহমান দেশে এসে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন এবং কবে নাগাদ খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার চূড়ান্ত ব্যবস্থা করা হয়।
