নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজার মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি)। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনি লড়াই হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন। তবে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত মনিরুল ইসলাম (আম), গণফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী লতিফুর রহমান (মাছ) ও ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মাহাবুবুর রহমান (মিনার)। এ আসনে অন্য কোনও প্রার্থী ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নড়াইল-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত বি এম কবিরুল হক মুক্তির (নৌকা) মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী মিল্টন মোল্লা (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত শ্যামল চৌধুরী (সোনালী আঁশ), জাতীয় পার্টি (জেপি) মনোনীত প্রার্থী শামীম আরা পারভীন (বাইসাইকেল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক (ঈগল)। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বি এম কবিরুল হক মুক্তির উল্লেখযোগ্য কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
গতকাল দুপুর ১২টায় নড়াইলের দুটি আসনে ১২ এমপি প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছে নির্বাচনি প্রতীক হস্তান্তর করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
এ সময় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিংকন বিশ্বাস, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version