বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে কুরিয়ার সার্ভিসে মালামাল পাঠানোর নামে ২৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রেইনবো এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিসেস লিমিটেড রেলরোড শাখার বিরুদ্ধে।

দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনা টাকা দাবি করে আসলেও না পেয়ে শনিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা শাখাটি তালাবদ্ধ করে দেন। একই সাথে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে যশোর শহরের রেলরোডস্থ এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা করে আসছেন রেইনবো এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিসেস লিমিটেড। বিভিন্ন পার্সেল কাজের ধারাবাহিকতায় কন্ডিশন ডেলিভারিতেও যশোরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী এই শাখা থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল বিক্রি করতেন।

কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন ব্যবসায়ীর কন্ডিশন ডেলিভারির পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিলেও ভোক্তার কাছ থেকে নেয়া পণ্যের টাকা ফেরত দেয়নি কুরিয়ার সার্ভিসটি।

বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে এসে তাদের টাকা চাইলেও নানা তালবাহানা করে। প্রায় ৮ জন ব্যবসায়ীর ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে।

যশোর চাঁচড়ার নোমান ট্রাক্টরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন মিলন বলেন, ‘কুরিয়ার সার্ভিসটির সঙ্গে প্রায় ১০-১৫ বছর ব্যবসা পরিচালনা করছি। কন্ডিশন ডেলিভারির মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সময়ে মাল নেয়। বছর খানেক আগে কুমিল্লা থেকে একজন কন্ডিশন ডেলিভারির মাধ্যমে আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা মাল নিয়েছে। কুমিল্লার ওই ব্যক্তি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কুরিয়ার কাছ থেকে মাল নিয়ে গেলেও; এখন কুরিয়ার সার্ভিস আমাদের টাকা দিচ্ছে না।

বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আমাদের টাকা নিতে আসলেও তারা নানা তালবাহানা করে। না পেরে আজ আমরা প্রতিষ্ঠানটি তালা মেরে দিয়েছি। এই রকম প্রতারণা শুধু আমার সাথে নয় শহরের ৮-১০জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

কুরিয়ার সার্ভিসটির জেলরোড শাখার ম্যানেজার সেলিম হোসেন দাবি করেন, ‘সম্প্রতি তাদের ব্যবসা বড় লোকসানে পড়েছে।

তাদের টাকা ফেরত দিতে পারেনি। ঢাকা অফিসের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুতই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। কুরিয়ার সার্ভিসটির ঢাকা রোডস্থ প্রধান শাখার নাহিদ আলম রিজভী বলেন, কিছু ব্যবসায়ীরা কুরিয়ার সার্ভিসের কাছে টাকা পাবে।

দীর্ঘদিন ধরে টাকা না পেয়ে আজ অফিস তালা মেরে দিয়েছে। আমরা দুপক্ষের সাথে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন পক্ষই আমার কাছে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version