বাংলার ভোর প্রতিবেদক

কাস্টমসে চাকরি দেয়ার নামে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করে হামলা ও অপহরণের শিকার হয়েছেন মণিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামের মামুন হোসেন। দেনাদার একই গ্রামের হাফিজুর, রবিউল ও সালামদের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়ার উপক্রম হয়েছেন মামুন। এরই মধ্যে তারা মামুনের পিতাকে অপহরণ করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরের শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্যে মামুন হোসেন জানিয়েছেন, যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর ও তার দুই ভাই আমাকে কাস্টমসে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আমার পরিবার ২০২১ সালেরর ৩ সেপ্টেম্বর তাদের ১৮ লাখ টাকা দেন। চুক্তি অনুযায়ী হাফিজুর ও তার দুই ভাই আমাকে একটি নিয়োগ পত্রের ফটোকপি দিয়ে ডাকযোগ মূলকপি আসবে বলে জানান। বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও ডাকযোগে কোন নিয়োগপত্র না আসায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে গিয়ে নিয়োগ পত্রের ফটোকপি দেখালে কর্তৃপক্ষ ভুয়া বলে জানিয়ে দেন।

তিনি বলেন, হাফিজুর ও তার ভাইদের দেয়া ১৮ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তার না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা চাইলে তারা দিবেনা বলে হুমকি দেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এতে হাফিজুর ও তার দুই ভাই আমার পরিবারের উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছে। এরপর হাফিজুর ও তার দুই ভাই আমার পরিবারের সদস্যদের নামে আদালতে মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। তাদের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পাাওয়ার পরে আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাফিজুর ও তার দুই ভাইয়ের করা মামলা খারিজ হওয়ায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে উপশহরের একটি বাগানে নিয়ে মারপিট করে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে। এছাড়া একই বছর ঈদুল ফিতরের আগের দিন হাফিজুরের দুই ভাই অপরিচিত লোক দিয়ে ঝাঁপা মাদরাসা মোড়ে আমাকে মারপিট করে। চলতি বছরের ২ মে আমাকে না পেয়ে আমার পিতাকে ধরে নিয়ে তার খুন-জখমের হুমকি দিয়ে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। বর্তমানে হাফিজুর ও তার দুই ভাই আমার পরিবারের উপর চরম অত্যাচার নির্যাতন করছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মামুন হোসেনে মা মঞ্জুয়ারা বেগম, মোস্তাক আলী, আব্দুল কালাম প্রমুখ।

Share.
Exit mobile version