বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের উপশহর পার্ক সংলগ্ন এলাকায় পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় বস্তিবাসীর দ্রুত পদক্ষেপে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পাশের বস্তি এলাকা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজের পর হঠাৎ বাসের ভেতর থেকে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। কাছে গিয়ে দেখা যায়, বাসের ভেতরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। সঙ্গে সাথে সাথে পাশের উপশহর বস্তির বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের এই দ্রুত পদক্ষেপের কারণেই আগুন বস্তির দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি এবং একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

বাসটির সুপারভাইজার, মাগুরা শ্রীপুরের হান্নান খান জানান, ‘রাহিন স্পেশাল’ নামের বাসটি (মাগুরা জ-১১-০০০৭) নিয়মিত যশোর-মাগুরা রোডে চলাচল করে। প্রতিদিনের মত রাতেও বাসটি উপশহর পার্ক এলাকায় পার্কিং করে রাখা হয়। তিনি বলেন, আমি রাতটা বাসের ভেতরেই ছিলাম। ভোরে বাসায় ফেরার পর খবর পাই দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিয়েছে। তিনি আরও জানান, আগুনে বাসের সিট ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে, তবে ইঞ্জিন অক্ষত রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, পার্কিং করা বাসের পাশেই উপশহর বস্তি থাকায় আগুনটি যদি বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ত, তাহলে মুহূর্তেই অসংখ্য ঘর ভস্মীভূত হতো। বস্তিবাসীদের দ্রুত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ড্রাইভারের সিটের পাশের জানালা ভেঙে ভেতরে আগুন দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়মিত থাকা নাইটগার্ডটি তখন চা খেতে গিয়েছিলেন এবং সুপারভাইজারও তখন বাসায় যাওয়ার পথে ছিলেন।

তিনি জানান, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। উল্লেখ্য, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ আজ দেশব্যাপি লকডাউনের ডাক দিয়েছে। এর জেরে সারাদেশেই এক ধরণের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব যশোরেও পড়েছে এবং এটি নাশকতার একটি অংশ হতে পারে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version