বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রেমের অভিনয় করে দেখা করতে এসে কৌশলে প্রেমিকার প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ ভরি ওজনের সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া সেই প্রতারক প্রেমিককে অবশেষে আটক করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আটক আবুল কাসেদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনি গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে ঢাকার আশুলিয়া থানার ডেইরি ফার্ম স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর সূত্রে জানা যায়, যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোড এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে আসমা খাতুনের সাথে গত ২০ জুলাই অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে কাসেদ আলীর পরিচয় হয়।
এরপর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে তাদের নিয়মিত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ চলতে থাকে। গত ২০ অক্টোবর সকালে কাসেদ আসমার সঙ্গে দেখা করতে যশোরে আসেন। আসমা তাকে শহরের ধর্মতলা খোলাডাঙ্গা এলাকায় তার ভাগ্নির বাড়িতে নিয়ে যান। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর আসমা তার ভ্যানিটি ব্যাগটি রেখে পাশের রুমে যান।
আসমা খাতুনের অভিযোগ, পাশের রুমে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরে দেখেন তার ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে রাখা ১৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন প্রকার গহনা উধাও, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা।
ভ্যানিটি ব্যাগটি ফাকা দেখে তিনি ও তার ভাগ্নি দ্রুত কাসেদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পান। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে অবশেষে তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আশরাফুল আলম জানান, মামলা গ্রহণের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি আবুল কাসেদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়।
এরপর বুধবার ভোরে ঢাকার আশুলিয়ায় তার বর্তমান বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তল্লাশি চালিয়ে কাসেদের ঘর থেকে যশোর থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া গহনার মধ্যে সোনার এক জোড়া চুড়ি, চারটি আংটি, একটি চেইন, একটি ব্রেসলেট এবং দুই জোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকেলে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
