বাংলার ভোর প্রতিবেদক
দুইশো কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন জনির বোন ইলোরা জারমিন।

তিনি বলেন, ‘জাফ্রিদি এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহনেওয়াজ কবীর টিপু তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইলোরা জারমিন বলেন, নওয়াপাড়ার স্বনামধন্য সারের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান জনি নয়, বরং শাহনেওয়াজ কবীর টিপু বিভিন্ন ব্যবসায়ীর প্রায় ৬২ কোটি টাকা ও নাবিল গ্রুপের ১৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পাওনা টাকা আদায়ে জনি সক্রিয় ভূমিকা নেয়ায় তাকে ও তার বাবা কামরুজ্জামান মজুমদারকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইলোরা জারমিন অভিযোগ করেন, শাহনেওয়াজ কবীর টিপু উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য এই চক্রান্ত করেছেন। তিনি বলেন, দুই কোটি টাকার লেনদেন যদি টিপুকে আটকে রাখার পর হয়, তাহলে ব্যাংক লেনদেনের নিয়ম অনুযায়ী টিপুর স্বশরীরে উপস্থিত থাকা জরুরি ছিল। এটিই প্রমাণ করে টিপুর চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশাল দল তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়েছিল, কিন্তু কোনো অস্ত্র পায়নি। এমনকি, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের তদন্তেও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ঘাট দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল।

ইলোরা জারমিন বলেন, টিপু নিজেকে বিএনপি পরিবারের সদস্য দাবি করলেও বিগত ১৭ বছরে কোনো বিএনপি পরিবারের সদস্যের পক্ষে রমরমা ব্যবসা করা ও এতো বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করা সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের পাওনা ৪২ কোটি টাকার চাপ এড়াতেই টিপু নওয়াপাড়া ছেড়েছেন এবং এখন ঢাকায় বসে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জনির মা রেহেনা জামান ও স্ত্রী সোনিয়া জামান উপস্থিত ছিলেন। তারা গণমাধ্যম ও প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও টিপুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version