বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার আছাদুজ্জামান জিদানের বিরুদ্ধে সুবিধাভোগিদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তিনি মুখ চিনে অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মালামাল দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা ইতিমধ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ করেছেন। ডিলার আছাদুজ্জামান জিদান বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী আবুল খায়েরের ছেলে। লটারিতে ডিলারশিপ পাবার পর এলাকাবাসী খায়েরের প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ বাতিল চেয়ে ওই সময়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাতে শতাধিক মানুষ স্বাক্ষর করেছিলেন।
এর আগে ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের দোসর থাকার অভিযোগ তুলে ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। অধিকতর যাচাই বাছাই ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের পর পুনরায় স্থগিত হওয়া ৩টি ওয়ার্ডে ডিলার নিয়োগ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী খায়েরের প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিলার আছাদুজ্জামান জিদান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগিদের সাথে অশালিন আচরণ করে আসছেন।
এমনকি মুখ চিনে মালামাল দিচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছেও মালামাল বিক্রি করছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মালামাল দেয়ার নিয়ম থাকলেও বেলা ১২টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছেন। এতে করে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার মানুষ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার আছাদুজ্জামান জিদান জানান, এলাকার একটি মহল আমার সাথে পূর্বের বিরোধ থাকায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি লেকজন আসলে তাদেরকে আগে দেয়া হয়। কিন্তু আমি মুখ চিনে কাউকে দেয়না।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সেফাউর রহমান জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আছাদুজ্জামান জিদান লটারিতে ডিলার মনোনীত হওয়ায়র এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। তারা ডিলারশিপ বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু লটারিতে হওয়ায় সেটি বাতিল করা যায়নি। তাছাড়া লটারিতে নাম ওঠার পর উপস্থিত এলাকাবাসী অভিযোগ তোলেনি যে কারণে তারা ডিলারশিপ বাতিল করা যায়নি। তবে ৮ নম্ববর ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে সুবিধাভোগিদের সাথে দুর্ব্যহারের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
