বাংলার ভোর ডেস্ক

অদ্ভুত এক গুণের মাছ ‘সারপা সালপা’। রূপেরও কমতি নেই, রুপালি আঁশের উপর সোনালি ডোরা। পানির মধ্যে যখন মাছটি সাঁতড়ে বেড়ায়, দেখে মনে হয় রুপার মুদ্রা ছড়িয়ে রয়েছে। ‘সালেমা পর্জি’ নামেও পরিচিত এ মাছ খেলে নাকি নেশা হয়; যার রেশ থাকে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। আরবিতে সালেমা পর্জিকে বলা হয়, ‘যে মাছ স্বপ্ন দেখায়’।

মনে করা হয়, রোমান সম্রাটেরা এই মাছ খেয়ে নেশা, আমোদ করতেন। পলিনেশীয়রা উৎসব-অনুষ্ঠানে এই মাছ খেতেন। আফ্রিকা উপকূল সংলগ্ন আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগর এই মাছের বাসস্থান। কেন এই মাছ খেলে কারও কারও নেশা হয়- এ নিয়ে ২০১২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে এই মাছের খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করা হয়। এই মাছ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন জাতীয় অ্যালগি খায়। যা থাকে পসিডোনিয়া ওশিয়ানিয়া নামের সামুদ্রিক ঘাসে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই অ্যালগির প্রভাবে সালেমা পর্জির শরীরে টক্সিন তৈরি হয়। তবে মাছটির শরীরে কী ধরনের টক্সিন তৈরি হয়, তা স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। কেউ মনে করেন সালেমা পর্জির শরীরে ইন্ডোল গোষ্ঠীর ক্ষার থাকে। এলএসডির গঠনও এ রকমই। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন সালেমা পর্জির শরীরে ডিমেথলাইট্রাইপথামিন (ডিএমটি) থাকে।

এটি এক ধরনের মাদক জাতীয় পদার্থ, যা অনেক জীবেই থাকে। গবেষকদের মতে, এই ডিএমটির কারণে এই মাছ খেলে নেশা হতে পারে। তবে কী থেকে আসলে নেশা হয়, তা নিয়ে বিশেষ গবেষণা হয়নি। একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, শরৎকালে এই মাছে টক্সিসিটি সবচেয়ে বেশি থাকে। তখন এই মাছ খেলে নেশা হতে বাধ্য। যদিও এই মাছ খেয়ে নেশা হওয়ার যত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তা সবই বসন্তের শেষে এবং গ্রীষ্মে। যদিও সালেমা পর্জি নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version