শ্যামনগর প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত বিবদমান দুই পক্ষ শ্যামনগর থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এসব মামলা করেন। সংঘাতের ঘটনায় আহতদের স্বজনদের দায়ের করা মামলায় প্রতিপক্ষের ৬৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
শ্যামনগর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দিন সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আব্দুর নুরের ভাই আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় গাবুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান এবং তার নিকটাত্মীয়সহ কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
একই রাতে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৮-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতার মামলায় সংসদীয় আসনের নৌকা প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আযম লেনিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল্লাহ মোড়লের স্ত্রী কুমকুম খাতুন বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। কুমকুম খাতুনের মামলাতেও গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আযম লেনিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, হামলার শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি দুপুরে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলনকে ফুল দিতে যাওয়ার সময় সফিউল আযম লেনিনের সমর্থকেরা মিজানুর রহমানসহ তার গাড়িচালককে মারধর করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার কিছু পরে সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুরের সমর্থকেরা সফিউল আযমের সমর্থকদের ওপর চড়াও হলে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে মারাত্মকভাবে আহত ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর ছয়জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version