বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে পৈতৃক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা খন্দকার আব্দুস সাত্তার। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী রেহেনা বেগম মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আব্দুস সাত্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার পৈতৃক বাড়ি নরেন্দ্রপুর মৌজার ১০৫৯ নং আর এস দাগের ৫৪ শতক জমির উপর অবস্থিত। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৯ নং খতিয়ানের ১০৬০ নং দাগ থেকে বৈধ ওয়ারিশদের কাছ থেকে মোট ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। ২০১৪ সালে হজ্ব শেষে তিনি তার সম্পত্তি শরিয়া আইন মোতাবেক ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বন্টন করে দেন।

তিনি জানান, ২০২৩ সালে তার মেঝো ছেলে মিন্টু মাহফুজ তিন তলা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে তিনি ক্রয়কৃত ১০ শতক জমি তার ছেলের নামে হেবা দলিল মূলে রেজিস্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে মিন্টু মাহফুজ ওই দাগের অন্যান্য বৈধ ওয়ারিশদের কাছ থেকে আরও ৩ দশমিক৩৩ শতক জমি ক্রয় করেন। ফলে বর্তমানে মিন্টু মাহফুজের মোট জমির পরিমাণ ১৩দশমিক ৩৩ শতক। এই জমিতেই বাড়ি নির্মাণ কাজ চলছে।

আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেন, বাড়ি নির্মাণের জন্য স্থানীয় আমিন দিয়ে জমি পরিমাপ করার সময় প্রতিবেশী রেহেনা বেগমের টিনের ঘরের একাংশ তাদের ক্রয়কৃত জমির মধ্যে পড়ে। গ্রাম্য মাতব্বররা রেহেনা বেগমকে ঘরটি সরিয়ে নিতে বললে তিনি আপত্তি জানান। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের আমিন দ্বারা পরিমাপের পর নিশ্চিত হয় রেহেনা বেগমের ঘরটি তাদের জমিতেই রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রেহেনা বেগম ঘর সরাতে রাজি হলেও নিচু জমি ভরাটের জন্য ২০ গাড়ি মাটি দাবি করেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা মাটি দিতে রাজি হন এবং ভরাটের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ২ থেকে ১ দিন মাটি ভরাটের পর রেহেনা বেগম কাজ বন্ধ করে দেন এবং শালিস মানতে অস্বীকৃতি জানান।

খন্দকার আব্দুস সাত্তার জানান, রেহেনা বেগম এরপর যশোর কোতোয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় রেহেনা বেগমকে তাদের জমি থেকে ঘর সরিয়ে নিতে বলেন। এরপর রেহেনা বেগম গত ২২ মে প্রেসক্লাব যশোরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, তারা রেহেনা বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করছেন না। বরং রেহেনা বেগমই তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির একাংশ দখল করে রেখেছেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version