বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেছেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। আমরা ভেবেছিলাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ ও ২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা মুক্তি পাবো। আমাদের চিন্তা ও যুক্তির জায়গা প্রশস্ত হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম যুক্তি নয় একটি অশুভ শক্তি বুলেট দিয়ে আমাদের যুক্তিগুলোকে থামানোর অপচেষ্টা করছে। তাদের এই ঘৃণ্য চেষ্টার ফলস্বরুপ দেখা গেলো ওসমান হাদির ওপর নৃশংস আক্রমণ এবং গুলি। আমরা বিশ্বাস করি অস্ত্র দিয়ে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর দমানো যায়না। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলি করে গণমানুষের কন্ঠস্বর দমানো যায়নি, আগামীতেও যাবে না।”
আরও পড়ুন .. .. হাদীর হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মাগুরায় বিক্ষোভ
শুক্রবার যবিপ্রবির জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ হোসেন গ্যালারিতে সেইলর প্রেজেন্ট দ্বিতীয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যেকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এবং যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের আয়োজনে এই বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক ও জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে নীরবতা পালন এবং দোয়া মোনাজাত করা হয়। দুই দিনব্যাপী জাতীয় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৩২ টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে। এবারের স্লোগান ‘যুক্তির যুদ্ধে হোক চিন্তার মুক্তি।’
যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের সভাপতি ও দ্বিতীয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আহবায়ক মো. মোতালেব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাফিউল হাসান, অনুষ্ঠানের যুগ্ম আহবায়ক শাহাবাজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নওশীন আমিন শেখসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যবিপ্রবির ডিবেট ক্লাবের রিফাত রায়হান ও সায়মা রহমান তিশা।
