সাতক্ষীরা সংবাদদাতা

সাতক্ষীরায় স্থানীয় এক আবাসিক হোটেলে ইফতার ও নামাজের প্রস্তুতির হিসেবে বিছিয়ে রাখা জায়নামাজের উপর দিয়ে হেটে টয়লেটে যান আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ডালিম। এ সময় হোটেলের এক কর্মী তাকে বাধা দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করেন।
আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের হোটেল উত্তরা আবাসিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ খাজরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হোটেল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ম্যানেজার এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আ. লীগ নেতা। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ভুক্তভোগী হোটেল উত্তরা আবাসিকের হোটেল কর্মী মিনাজ বলেন, চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জুতা পায়ে জায়নামাজের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি পাশ দিয়ে যেতে বলায় মারতে শুরু করে। আহত হোটেল উত্তরা আবাসিকের ম্যানেজার সজল হোসেন বলেন, নামাজের জন্য সব প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করে আ.লীগ নেতা ডালিম জায়নামাজের মাঝখান দিয়ে জুতা পায়ে হেটে যায়। এ সময় হোটেল বয় মিনাজ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করে। তখন আমি এগিয়ে আসলে আমিও তার হামলার শিকার হই। তিনি বলেন, ডালিমের সঙ্গে খায়রুলসহ তিন-চার জন এসে আমাকে অনেক মারপিট করেছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএমডি মোস্তাকিম বলেন, আশাশুনির ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মধ্যে শাহনেওয়াজ ডালিম সব থেকে বাজে প্রকৃতির লোক। তার এলাকায় সে যেসব ঘের করে তার কোনোটিরই হারি (লিজের টাকা) দেয় না। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ঘের দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে নিয়ে বিব্রত।

Share.
Exit mobile version