বাংলার ভোর প্রতিবেদক

যশোরের শার্শা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আলম সালমাকে সভাপতি ও ঢাকার সাভার উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিকা হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে রোববার বাংলাদেশ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় প্রথমিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

১৪ সদস্য বিশিষ্ট এ প্রাথমিক কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার রেশমা জামান, পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার সুলতানা রাজিয়া, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ফারহানা ইয়াসমিন ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার আফরোজা আক্তার রয়েছেন।

এছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার ও যশোর সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বাশিনুর নাহার ঝুমুর। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার খায়রুন আক্তার, কক্সবাজার সদর উপজেলার রোমেনা আক্তার ও যশোরের চৌগাছা উপজেলার নাসিমা আক্তার। এছাড়াও দফতর সম্পাদক হিসেবে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ববিতা বেগম ও রাজশাহীর পবা উপজেলার পপি খাতুনকে প্রচার সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শামীমা আলম সালমা সদস্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১১ বছর আগে নিখোঁজ বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র (কাউন্সিলর) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তারিকুল আলম তুহিনের স্ত্রী। সালমা জেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বেও আছেন।

সালমার স্বামী তারিকুল আলম তুহিন ২০১৩ সালের ৭ মার্চ সকালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ন্যাম ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিনের বাসায় যান। সেখান থেকে তিনি বেলা সাড়ে ১১টায় বের হন। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ আছেন। পরিবার বিভিন্ন সময় অভিযোগ করে আসছে, দলীয় কোন্দলের জেরে তুহিনকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়ে থাকতে পারে।

শামীমা আলম সালমা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার স্বামী নিখোঁজের পর থেকে পরিবার নিয়ে দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছে। আমার স্বামী আজ ১১ বছর ধরে নিখোঁজ। একমাত্র ছেলের বয়সও ১১ বছর। সে তার বাবাকে দেখেনি। বাবাও সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি। ছেলে ফিরে আসবে এই আশায় আমার শ্বশুরও মারা গেছেন। উপজেলার সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ও ভালবাসায় আজ আমি বিপুল ভোটে জিতেছি। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাব।’

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version