বাংলার ভোর প্রতিবেদক
দফায় দফায় পতাকা বৈঠকেও মিলছে না কোনো সমাধান। গত ১৫ বছরে শুধু যশোরের বেনাপোল সীমান্তেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ বাংলাদেশি। তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। হত্যার তালিকায় আছেন বিজিবি সদস্যও। অথচ, আন্তর্জাতিক সীমান্তে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটিও বিচার হয়নি। এসব হত্যাকাণ্ডের কড়া জবাব দেয়ার তাগিদ থাকা উচিত বলে জানান মানবাধিকারকর্মীরা।
জানা যায়, জীবিকার তাগিদে কৃষি কাজ, গবাদিপশু চরানো ও মৎস্য আহরণের জন্য সীমান্ত এলাকা ও শূন্যরেখায় যেতে হয় বাংলাদেশি নাগরিকদের। ভুল করে কেউ ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বা অরক্ষিত সীমান্ত সামান্য অতিক্রম করলেই শুরু হয় বিএসএফের পৈচাশিক আচরণ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিতর্কিত ‘স্যুট-অন-সাইট’ বা ‘দেখামাত্র গুলি’ নীতি এখনও মানছে ভারত। তবে বর্তমানে গুলির পরিমাণ কমলেও নির্যাতন করে হাত-পায়ের শিরা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনা বেশি ঘটছে। তাদের এ আক্রোশের শিকার কেবলই বাংলাদেশিরা। গত ১৫ বছরে শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে ৪১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে এখনও পরিচয় মেলেনি ছয় জনের।
নিহত বিজিবি সদস্য রইচ উদ্দীনের প্রতিবেশী জানান, রইস উদ্দিন বর্ডারে দেশ রক্ষায় জীবন দিয়ে আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাকে এভাবে গুলি করে হত্যা না করে যদি জেলে দিত, তাহলে হয়তো তাকে আমরা ফিরে পেতাম।
নিহত বিজিবি সদস্য রইচ উদ্দীনের শ্বশুর আবুল কালাম জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত কোনো বাংলাদেশি এখন পর্যন্ত বিচার পাননি। আন্তর্জাতিক সীমান্তে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটিও বিচার হয়নি। তাই, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে উদ্যোগ নেয়ার দাবি নিহতদের স্বজনদের।
এ বিষয়ে রাইটস যশোর মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, একটা লোক যদি অপরাধী হয়, অনুপ্রবেশকারী হয় তাকে ধরে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত। এটা সরকার টু সরকার যাওয়া উচিত, তা না করে তারা গুলি করে হত্যা করছে। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন তিনি।
যশোর শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা তো যুদ্ধ চাই না, যুদ্ধ কোনো সময় মঙ্গল বয়ে আনে না। এ ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে, সেটাই জোরদার করা উচিত।’ মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে সারা দেশে বিএসএফের নির্যাতনে শিকার হয়েছেন ৫৮৮ বাংলাদেশি।
শিরোনাম:
- দারিদ্রতা দূর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই : মুহাদ্দীস আব্দুল খালেক
- পাহাড়সম অভিমান নিয়ে চলেই গেল আছিয়া
- যশোরে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
- যশোর সংস্কৃতিকেন্দ্রের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- যশোরে শিক্ষার্থীদের গায়েবি জানাযা ও বিক্ষোভ মিছিল: আছিয়ার মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ
- শেখ হাসিনা আর কখনোই এ দেশে আসতে পারবে না : আমানুল্লাহ আমান
- প্রতিটা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন জরুরি : জেলা প্রশাসক
- চৌগাছায় জামায়াতের ফুড প্যাকেট বিতরণ