বাংলার ভোর প্রতিবেদক

যশোরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে ত্রাণের টাকা তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন আলেয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। এ ব্যাপারে সংগঠনের সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।

জানা যায়, খড়কি সার্কিট হাউজ পাড়ার ইব্রাহিম বাবুর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস চৈতি ওরফে সাহারা আলেয়া ফাউন্ডেশনের নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করে বন্যা কবলিত মানুষের সহযোগিতার জন্য সর্বসাধারণের কাছ থেকে টাকা উঠান। শহরের বিভিন্ন এলাকা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন তারা। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সহযোগিতার জন্য উঠানো এই টাকা সাহারার কাছে রাখা ছিলো।

সংগঠনের সদস্য ইয়াছিন আরাফাত বলেন, যে সংগঠনের নামে তারা টাকা উঠিয়েছেন, সেই সংগঠনের সব দায়িত্ব সাহারা নিজেই পালন করে। ত্রাণের জন্য উঠানো টাকার বিষয়ে সে কাউকে কিছু জানায়নি। সে বলছে ৭৫ হাজার টাকা ঢাকার আস্-সুন্না ফাউন্ডেশনে জমা দিয়েছে। কিন্তু সে আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। বরং আমাদের কিছু সদস্যদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করছে। বিকেল বেলা আমরা পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে বসেছিলাম। আমরা আমাদের অভিযোগ তুলে নিয়েছি সেও তার অভিযোগ তুলে নিয়েছে।

আব্দুল্লাহ, সাব্বির ও রুবাইয়া নামে আরও কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৫ থেকে ৬ দিনে দিন রাত পরিশ্রম করে টাকা তুলেছি বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের কাছে এখনও কাপড়, শুকনো খাবার ও ৫০ থেকে ৬০ কেজি চাল আছে। আমরা যার নেতৃত্বে কাজ করেছি সে নিজেই আমাদের সাথে সমন্বয় না করে টাকা নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে জানার জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস চৈতির মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হয়েছিল। দুই পক্ষ বসে মিমাংসা করা হয়েছে। টাকাটা আমি ত্রাণের তহবিলে জমা দিয়েছি তার সকল প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। এবং প্রমাণ স্বরূপ তিনি আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে জমা দেয়া পঁচাত্তর হাজার টাকার একটি রশিদ এবং কসবা ফাঁড়িতে বসে নিজেদের মধ্যকার মীমাংসার একটি কপি পত্রিকা দপ্তরে পাঠান। কসবা ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর রেজাউল ইসলামও উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version