বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ বছরের একাডেমিক অধ্যায়নের আনুষ্ঠানিক সমাপনি দিনে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, স্নেহ এবং ভালবাসায় সিক্ত হন। ৬৫ জন ছাত্রী সবাই নীল শাড়ী পরে দিনটিকে ভালবাসার রঙে ফ্রেম বন্দি করে রাখলেন।

বুধবার সকালে ছাত্রীদের আয়োজনে কলেজের ডা. সালাহ্ উদ্দিন খান লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবেগ-অনুভূতি ব্যক্ত করেন। হৃদয় থেকে দোয়া করলেন যেনো পরীক্ষায় সফল হবার এবং ভাল ডাক্তার ও ভাল মানুষ হবার। শিক্ষকরা বলেন, আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। যখন শিক্ষার্থীরা সফল হয় এটা শিক্ষকদের আনন্দ দেয়। শিক্ষকরা শুধু তাদের প্রাপ্ত সম্মানটুকু পেলেই খুশি।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় সাহা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. গোলাম মুক্তাদির, ডিজিও কোর্স কো-অর্ডিনেটর ও গাইনী অ্যান্ড অবস্ বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামান, সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম আবু আহসান, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এএসএম রিজওয়ান, ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মীর মুয়ীদুল ইসলাম, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আফরোজা জিন্নাত, এনাটমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিন মহিউদ্দিন, চক্ষু বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বিদেশি ছাত্রী মোকাদ্দাস শাহীন ও দেশি ছাত্রী আফিফা মাকসুরাহ। আরও অনুভূতি ব্যক্ত করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন নবম ব্যাচের ছাত্রী মাহমুদা আক্তার।

আলোচনা, কেক কাটা, শিক্ষকদের লাল গোলাপ এবং উপহার প্রদান, গ্রুপ ফটো সেশনে মিলিত হন সবাই। ২য় পর্বে অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় অনুষ্ঠানটি স্মৃতিময় করে তোলেন।

প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের প্রতি গভীর ভালবাসার বন্ধন এবং মমত্ববোধকে মিস করবেন এমনটায় জানালেন দেশি-বিদেশী ছাত্রীরা। মানবিক চিকিৎসক হবার যে বাসনা নিয়ে মেডিকেলের সিড়িতে পা রেখেছিলেন, সেটা যেনো সফল হয় তার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। ভারতীয় শিক্ষার্থী আজমাত বশির ও সিরাত মুক্তার বললেন, এটা যেনো আমাদের কাছে এখন সেকেণ্ড হোম। আমরা এই দেশের আলো বাতাসের সাথে নিজেদের দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছি। এটাকে ভোলা যাবে না। আমরা যে সঠিক জায়গায় মেডিকেল অধ্যয়ন করতে পেরেছি তা এখন বুঝতে পারি। এখানকার শিক্ষকরা আমাদের তাদের সবটুকু দিয়ে শিখিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের সেলফি তোলা, আলাদা গ্রুফ ফটো সেশন এবং যেখানে নিত্য এ্যাসেমব্লি অনুষ্ঠানে মিলিত হবার স্থান গ্রাউণ্ডে ০৯ লিখে স্মরনীয় করে রাখার প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাচমেটদের প্রতি হৃদয়ের টান জানান দেয়। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আসন্ন এমবিবিএস চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় এই ছাত্রীরা সবাই উত্তীর্ণ হোক এমনটাই প্রত্যাশা কলেজ কর্তৃপক্ষের।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version