শ্যামনগর সংবাদদাতা

প্রতিপক্ষের করা মামলায় কারাগার থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন হাফিজুর ও মফিজুল। আর বাড়ি ফিরেই স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় বোনকে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে শায়েস্তার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী এলাকায়। যদিও ডাক্তারী পরীক্ষায় আটকে যাওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় থানা পুলিশের সাড়া না মেলায় আপাতত চুপসে আছে চক্রটি।

জানা যায়, সীমান্ত চোরাচালানকে কেন্দ্র করে পশ্চিম কৈখালী গ্রামের হাফিজুর ও মফিজুলের সাথে প্রতিবেশি আরজ খানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আরজ খানের দেয়া তথ্যে তাদের একধিক মাদক ও ওষুধের চালান আটক হওয়ায় ক্ষুব্ধ মফিজুল গত ৩০ মার্চ আরজসহ তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।

এতে সুবিধা না হওয়ায় খালাত ভাই হাফিজুরসহ লোকজন নিয়ে গত ১৩ জুলাই আরজ খানকে কুপিয়ে আহত করে মফিজুল। ওই ঘটনায় আরজের পিতা সামছুর রহমানের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন তারা।

এদিকে, গত ৩ আগস্ট হাফিজুর তার স্বামী পরিত্যক্তা ছোট বোনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসকদের কাছে দাবি করেন তার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে হাফিজুর বলেন, আরজ ও তার মামাত ভাই ফরহাদ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল মনির জানান প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষায় তারা ওই নারীর শরীরে ধর্ষণের কোন আলামত খুঁজে পাননি। তবুও অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তার শরীর থেকে সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বোন ধর্ষিত হওয়ার দাবি করা হাফিজুর শুরুতে ধর্ষক হিসেবে আরজ খানের নাম উচ্চারণ করে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান। তবে ডাক্তারী পরীক্ষার পর অনেকটা আশাহত হওয়ার ভঙ্গিতে তিনি আরও বলেন ‘বোন হাসপাতালে, তাই আাপাতত মামলার কথা বলতে পারিছ না। যদিও তথ্য রয়েছে চিকিৎসকরা ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়ায় মামলা দায়েরের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে হাফিজুর ও মফিজুল।

আরজ খান জানান কারাভোগের পর থেকে মফিজুল ও হাফিজুর তাদেরকে শাসাচ্ছে। বাধ্য হয়ে হয়রানী বন্ধের দাবি জানিয়ে গত ২৬ মে হাফিজুর ও মফিজুলের বিরুদ্ধে আরজের পিতা সামছুর রহমান আদালতে মামলা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজমুল মনির জানান প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবুও সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version