বাংলার ভোর প্রতিবেদক
অপহরণ মামলায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করতে যেয়ে ঝিনাইদহে মারপিটের শিকার হয়েছেন যশোর কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ সদস্য। সোমবার বিকেলে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে এসে কালিগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, যশোর কোতয়ালী থানার এএসআই তাপস কুমার পাল, কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুল ইসলামের ভাইরার ছেলে সুজন হোসেন যশোর থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়েকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার যশোর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর যশোর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই গ্রামে যায়। বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী পুরুষ পুলিশের উপর হামলা করে।
এ সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে ভিকিটিম মেয়েকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্য ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরমধ্যে আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ সদস্যদের মার ঠেকাতে গিয়ে আহত হন কালীগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আছাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী মাছুরা খাতুন।
আহত কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ৬ থেকে ৭ জন পুরুষ এসে আমাকে বলে হাত ছেড়ে দাও। হাত না ছাড়াই আমাকে এবং আমার সাথে থাকা নারী কনস্টেবলকে মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে যশোর কোতয়ালী থাকার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।’ কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগিতায় বাকুলিয়া গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারে গেলে হামলার শিকার হয়।
আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা যশোর থানা নিবে বলে যোগ করেন ওসি।