অভয়নগর সংবাদদাতা
যশোরের অভয়নগরে প্রীতি মন্ডল (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রীতি মন্ডল উপজেলা সুন্দলী ইউনিয়নের ডাঙ্গামশিহাটি গ্রামের উত্তম মন্ডলের মেয়ে ও আড়পাড়া গ্রামের সৌমিত্র ধরের স্ত্রী। তিনি যশোর মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বাবা উত্তম মন্ডলের অভিযোগ; পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সৌমিত্র প্রীতিকে হত্যার পরে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে পরিবারের অমতে সৌমিত্র ধরের হাত ধরে প্রীতি মন্ডল তাদের বাড়ি চলে যায়। সৌমিত্রের পরিবার নিজেদের দ্বায়িত্বে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে। বিয়ের পর থেকেই সৌমিত্রের পরিবার তাকে মেনে নিতে পারতো না। প্রায় তাদের মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
নিহত প্রীতি মন্ডলের বড় ভাই হরিনাথ বিশ্বাস বলেন, আমার বোন মারা গেছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত তার স্বামীর বাড়ি আড়পাড়াতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি খাটের উপর প্রীতির মরদেহ পড়ে আছে। তার স্বামী ও পরিবারের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার বোনকে হত্যা করে বাড়ি থেকে সবাই পালিয়েছে। এখন মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে গলায় ফাঁস দেয়ার। আমার বোনের হত্যাকারীর গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
সৌমিত্র মন্ডলের মা স্বপ্না মন্ডল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমার বৌমা নিজেই গলায় শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, রাতেই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাবে।