বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরে মন্দির ও হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলো রাত জেগে পাহারা দিয়েছে জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সোমবার রাতে পাড়ায় পাড়ায় লাঠি হাতে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ান। এতে করে স্বস্তি ফিরে আসে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্যকে গত দুই দিন ধরে মাঠে দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।
জানা গেছে, যশোরের বেশিরভাগ থানায় এখন পুলিশের কোনও সদস্য নেই। সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান করছেন অনেকে। সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ঘনিষ্ঠ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আত্মগোপন করেছেন।
শহরের বেজপাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোমবার রাতে তারা বেজপাড়া পূজারমাঠসহ আশপাশের সব মন্দিরে পাহারা দিয়েছেন। কেননা সুযোগ সন্ধানীরা লুটপাট ও ছিনতাই কাজে নেমেছে। এদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
বেজপাড়া বনানী রোডের বাসিন্দা শংকর মল্লিক জানান, কিছু ছিনতাইতারী আমাদের এলাকায় এসে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছিল। পরে জানতে পেরে আমারা প্রতিহত করেছি। রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় যুবদল নেতা-কর্মীরা।
পূজারমাঠ এলাকার বাসিন্দা মানিক সাহা জানান, সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে মন্দির পাহারা দিয়েছে স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা ও হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেবেন কীভাবে? এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে তাও অনুমান করতে পারছেন না কেউ।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা জানান, আমাদের নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্দেশে যশোর সদরসহ সব উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতামকর্মীরা রাত জেগে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে নিরাপত্তায় কাজ করেছে। যাতে সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিতে না পারে।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, শহরের জাবীর হোটেলে আগুনে ২৪ জনের মৃত্যু কোনভাবে মেনে নেওয়া যায়না। সুযোগ সন্ধানীরা বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনও করিনা। সবখানে শান্তি বজায় রাখতে বিএনপির প্রতিটি কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করছেন। যশোরের সব উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাত জেগে হিন্দু সম্প্রাদায়ের মন্দির পাহারা দিয়েছেন। পাশে থেকেছেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।