বাংলার ভোর প্রতিবেদক
গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে সারাদেশের সঙ্গে যশোরেও বইছে ভোটের আমেজ। ভোটের আগে তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বার্তা দিতে যশোরে দলটির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় যোগ দেন মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই বার্তা নিতে মিছিলে মিছিলে স্লোগানে স্মরণসভা রুপ নেয় জনসভায়। সভায় বক্তব্য শেষে যশোরের পাঁচটি আসনে মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ধানের শীষে ভোট চান তিনি।

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্মানের দিকে তাকিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকলকে একসাথে সমাবেত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি ধানের শীষ প্রতীকের স্লোগান দেন। সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের হাত উঁচিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেন নেতাকর্মীদের। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ধানের শীষে বিজয়ের মধ্যে দিয়ে অমিতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রয়াত তরিকুল ইসলামের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে তাকে সহযোগিতা করবেন।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। অপর আসনটি শরীক দলের জন্য ছাড় দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, যশোরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যশোর-৩ (যশোর সদর) আসনে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলাম ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সন্তান।

এছাড়া যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির নাম। তিনি এ আসন থেকে আগেও বিএনপির হয়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৯৯৬-২০০১) এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তৃপ্তি। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার স্বামী প্রয়াত নাজমুল ইসলাম যশোর জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগের সময়কালে গুমের পর হত্যা করা হয় তার স্বামীকে। যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবকে। তিনি কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মতে, এ আসনটি শরীক দলের প্রার্থীকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নতুন মুখ হিসেবে প্রার্থী নির্বাচিত রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের দীর্ঘ রাজনৈতিক পটভূমি থাকলেও তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তার পরিবার তাকে তাজ্য ঘোষণা করেছিল।

Share.
Exit mobile version