বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নাশকতার মামলায় আত্মসমর্পণ করতে এসে যশোর আদালতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার অনুকূলে স্লোগান দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার দুপুরে তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে অংশ নেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ আইনজীবীরাও। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হৈ হৈ রই রই, শেখ হাসিনা গেলি কই’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘খুনি এখন দিল্লিতে, তোমার আমার জান নিতে’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুশিয়ার, সাবধান’, ‘লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা চোরা কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোনো পরাজিত শক্তি যেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, নাশকতার মামলায় যশোরে আওয়ামী লীগের ১৬৭ নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। যারা জামিনযোগ্য, তাদের বিচারক জামিন দিয়েছেন। এ নিয়ে যারা আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলা করেছে, বা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিগত সময়ে বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের ফ্যাসিজমের কারণে প্রধান বিচারপতিকেও দেশ ছাড়তে হয়েছিলো। বিচার বিভাগকে আর প্রশ্নিবিদ্ধ হতে দেবে না ছাত্রজনতা। দেশেকে নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দেবে ছাত্রজনতা। তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।’
প্রসঙ্গত, রোববার পৃথক তিনটি নাশকতার মামলায় যশোরে আওয়ামী লীগের ১৬৭ নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর মধ্যে বিচারক ৪২ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পর আদালতের খাসকামরা থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর সময় পর্যন্ত ‘জয় বাংলা, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ স্লোগান দিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের। ওই সময় আদালত এলাকায় একধরনের উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মুহূর্তের মধ্যে এর কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে।