কাজী নূর
আল্লাহকে সেবা করার উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে হাসপাতাল বলে মন্তব্য করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অসহায় দুস্থ মানুষকে সেবা করার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। ধর্মীয় উপাসনালয়ের মতো হাসপাতালের গেটেও একটি দানবাক্স থাকা উচিত। কারন এ হাসপাতালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকে সেবা নিতে আসেন।
অনেক সময় দেখা যায়, ধারণ ক্ষমতার চাইতে কয়েক গুণ বেশি রোগীর সেবা, খাদ্য সরবরাহ, ওষুধ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেকায়দায় থাকেন। তাই আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মনে রাখতে হবে, সমস্যা একটা কিন্তু তার সমাধান রয়েছে হাজারটা। শনিবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে রোগী কল্যাণ সমিতির নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এ হাসপাতালে রোগী প্রতি ৪৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ ঠিকাদার একটি মামলা করে ১২৫ টাকায় খাবার সরবরাহ করে গত ১০ বছরে রোগীদের কয়েক কোটি টাকার হক নষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, যারা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নানা সুবিধা চরিতার্থ করে তারা মানুষ নয়। এ সময় তিনি রোগী কল্যাণ সমিতিতে সিজারকৃত ফিজিশিয়ান স্যাম্পল (ওষুধ) দেয়া ও অ্যাম্বুলেন্স সিণ্ডিকেট, দালাল এবং হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে যানজট নিরসন এবং যশোরের মানুষের কল্যাণে যা যা করণীয় তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াতের সভাপতিত্বে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন, প্রান্তিক মানুষের পাশে রোগী কল্যাণ সমিতি সবসময় আছে। এ হাসপাতালে সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাবার টাকাও যদি কারো পকেটে না থাকে তাহলে রোগী কল্যাণ সমিতির খরচে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। টাকা না থাকলে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। আপনারা শুধু যথাযথ নিয়মে রোগী কল্যাণ সমিতিকে আপনার সমস্যার কথা জানান।
হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা ও পদাধিকার বলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শান্তা শ্যামলী মনীষার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা, ওসি কোতোয়ালি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সমিতির যুগ্ম সম্পাদক একে শরফুদ্দৌলা ছটলু ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এএসএম মারুফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও সমিতির সহ সভাপতি ডা. আ.ন.ম বজলুর রশীদ টুলু, সমিতির কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মাসুদুল হক মাসুদ, প্রচার সম্পাদক আলিমুজ্জামান লিটু, সদস্য খলিলুর রহমান, হাবিবুর রহমান, খন্দকার শফিউল আলম উপল, এমরান হোসেন খান কবি, রাফফাত আরা ডলি, আনোয়ারা পারভীন, সুফিয়া বেগম ও শামছুন্নাহার পান্না।