বাংলার ভোর প্রতিবেদক
 যশোরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তরিকুল ইসলাম। প্রতিটা উপজেলা এলাকার মানুষের উন্নয়নের দাবি তিনি কখনও ভুলতেন না। সরকারে উন্নয়নের কোন আলোচনা হলেই সেখানে যশোরের জন্য সক্রিয় ছিলেন তিনি। যেমন বিজ রোপণ করেছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, তেমনি না চাইতেই যশোরবাসী পেয়েছে মেডিকেল কলেজ। উন্নত চিকিৎসায় যশোরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন করোনারি কেয়ার ইউনিট। যদিও সরকার পরিবর্তনের পর সব কিছু থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় করোনারি কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে যশোরের মানুষ। এখনও সেই অচলাবস্থা কাটেনি হাসপাতালটিতে।
যশোর জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত যশোর অন্তপ্রাণ এ রাজনীতিকের উন্নয়নের ছোঁয়া। ১৯৯১ সালে তরিকুল ইসলাম প্রথম বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ১৯৯২ সালে ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নে তরিকুল ইসলামে অবদান এখনো অকপটে স্বীকার করেন যশোরের মানুষ।
মণিরামপুরে ১৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২ টি বিলাসবহুল ইউনিয়ন ভবন
 ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর যশোর উন্নয়নের পাশাপাশি তরিকুল ইসলাম মণিরামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। উল্লেখযোগ্যের মধ্যে রয়েছে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মণিরামপুর বাঁধাঘাটায় (হাসপাতালের পাশে) হরিহরনদীর উপর নির্মাণ করা হয় সেতু। এ ছাড়াও একই নদীর উপর তিনি নির্মাণ করেন মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের সেতু। এছাড়া নির্মাণ করা হয় অসংখ্য স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের ভবন। পাকা করা হয় প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার সড়ক। আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তো রয়েছেই। ২০০১ সালের পর তিনি মণিরামপুর-ঢাকুরিয়া, মণিরামপুর-রাজগঞ্জ, চিনাটোলা-দুর্বাডাঙ্গা-শ্যামনগর-মনোহরপুর, মণিরামপুর-হাজিরহাট সুন্দলী, মণিরামপুর-নেহালপুর, খানপুর-বালিয়াডাঙ্গা-খামারবাড়ি, মণিরামপুর-ঝিকরগাছাসহ প্রায় দুই’শ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণের পর উদ্বোধন করেন। এছাড়াও নির্মাণ করা হয় মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বালিয়াডাঙ্গা-খানপুর কলেজ, মনোহরপুর কারিগরি ভোকেশনাল কলেজ, মণিরামপুর ভোকেশনাল কলেজ, সবুজ পল্লী কলেজ, মাতৃভাষা কলেজ, চিনাটোলা কলেজ, ঢাকুরিয়া কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় মন্ত্রী থাকার সুবাদে তরিকুল ইসলাম নির্মাণ করেন মণিরামপুরের ১৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২ টি বিলাসবহুল ইউনিয়ন ভবন। নির্মাণ করা হয় প্রায় দুই শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। সরকারি পাশাপশি তিনি বেসরকারি স্কুল কলেজ ভবনও নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়াও তরিকুল ইসলামের সব চেয়ে বড় সাফল্য ভবদহে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে ওই সময় জনগণকে রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খনন করা হয়েছিল হরিহর, কপোতাক্ষ, গজশ্রীসহ অসংখ্য নদ-নদী ও খাল। এখনও তরিকুল ইসলামের সেই সব উন্নয়নের ছোয়া মণিরামপুরের অধিকাংশ এলাকায় কালের সাক্ষি হিসেবে দাড়িয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, তরিকুল ইসলাম কোন ব্যক্তি নয়, তরিকুল ইসলাম হলেন উন্নয়নের প্রতীক। এ কারনেই তাকে জনগণ উপাধি দিয়েছে উন্নয়নের কারিগর।
চৌগাছাকে থানায় রূপ দেন জিয়া; উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যান তরিকুল
 সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলেও তরিকুল ইসলামের উন্নয়নের ছোঁয়া আজও বিদ্যমান। চৌগাছাকে থানায় রূপ দেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। চৌগাছাকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যান জননেতা তরিকুল ইসলাম। ১৯৭৭ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছোট্ট চৌগাছা বাজারকে থানায় রূপান্তরিত করেন। ১৯৮২ সালে সাবেক রাষ্ট্র্রপতি এরশাদ থানাকে উপজেলাতে রূপ দেন। ২০০৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চৌগাছা উপজেলা সদরকে নিয়ে পৌরসভা গঠন করেন। ভৌগলিকভাবে চৌগাছার অবস্থান উত্তরে কোটচাঁদপুর ও কালিগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণ-পূর্বে যশোর সদর ও ঝিকরগাছা, দক্ষিণ-পশ্চিমে শার্শা উপজেলা পশ্চিমে ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলা ও মহেশপুর উপজেলা অবস্থিত। এই উপজেলার আয়াতন ২৬৯ দশমিক ২০ বর্গ কিলোমিটার। গোটা উপজেলা জুড়েই রয়েছে মরহুম জননেতা তরিকুল ইসলামের হাতের ছোঁয়া এমনটিই জানা গেছে এ জনপদের মানুষের সাথে কথা বলে। দেশ বিভাগের পর জিয়াউর রহমান যখন চৌগাছাকে থানা ঘোষণা করলেন তখন চৌগাছা ছিল চরম অবহেলিত। চৌগাছা থেকে যশোর শহরে যেতে সময় কেটে যেত ঘন্টার পর ঘন্টা। সরু সলিং রাস্তা, কোন রকমে একটি গাড়ি চলতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পৌঁছাতে হতো যশোর শহরে। সেই সড়ক উন্নয়ন করেন জননেতা তরিকুল ইসলাম। তাঁর কল্যাণে বাংলা ১৩৮৭ সালের ৪ অগ্রহায়ণ চৌগাছার প্রত্যন্ত গ্রাম জগদীশপুরে ছুটে আসেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ধুধু বালুময় মাঠে তুলা গবেষণা ও বিজবর্ধন খামার করার ঘোষণা দেন। সেই খামার আজও কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, শুধু দাঁড়িয়ে না খামারটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ খামারের মুকুট পরে আছে। ১৯৯৩ সালের ২ ডিসেম্বর বিএনপির শাসনামলে তরিকুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চৌগাছায় আসার আমন্ত্রণ জানান। বর্তমান চৌগাছা সরকারি কলেজ মাঠে বিশাল জনসমুদ্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চৌগাছার সার্বিক উন্নয়নের ঘোষণা দেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো সরকারি কলেজের দূরের শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ, যার নামকরণ করা হয় শহীদ জিয়া হল। এছাড়া চৌগাছা ঝিকরগাছা, চৌগাছা মহেশপুর, চৌগাছা কোটচাঁদপুর, চৌগাছা বারবাজার, সলুয়া আড়পাড়া, পুড়াপাড়া কোটচাদপুর, দামোদার বটতলা হতে বেদ্যাধরপুর, বুন্দোলিতলা নারায়নপুর, চৌগাছা শার্শা, পাতিবিলা যাত্রাপুর, হাকিমপুর চন্দ্রপাড়া সড়ক পাকারণের ঘোষনা দেন। এই প্রতিশ্রুতি শতভাগ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন মরহুম নেতা তরিকুল ইসলাম। যার সুফল সেই থেকে এ জনপদের মানুষ ভোগ করছেন। হাকিমপুর আড়পাড়া গ্রোথ সেন্টার তৈরি করেন। চৌগাছার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন প্রতিষ্ঠা, পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ, কলেজ, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করণ, উপজেলার তাহেরপুর, মাশিলা ও নারায়ণপুরে কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রিজ নির্মাণসহ বহু ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করেন। ২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোরের ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহাসিক জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চৌগাছা পৌরসভা গঠনের ঘোষণা আদায় করেন যশোর উন্নয়নের রুপকার জননেতা তরিকুল ইসলাম। চৌগাছা হাসপাতালকে ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান, বহু মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়ন সাধন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ভবন নির্মান করেন জননেতা তরিকুল ইসলাম।
 অসংখ্যা রাস্তাঘাট ভবন নির্মাণ করেছেন তরিকুল ইসলাম
 বিএনপির শাসনামলে ঝিকরগাছায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন তরিকুল ইসলাম। এসব উন্নয়নের চিত্র এই জনপদের সাধারণ মানুষ এখনো ভুলতে পারেননি। তিনি বিভিন্ন সেতু, কালভার্ট, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যা আজও সাধারণ মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে আছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও তিনি ভূমিকা রাখেন। এসব উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে, চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়ক নির্মাণ, ঝিকরগাছা-বাঁকড়া ১৭ কিলোমিটার সড়ক, বাঁকড়া-হাড়িখালী ৯কিলোমিটার সড়ক, বল্লা-উলাশী সড়ক নির্মাণ, শংকরপুর ফেরিঘাট ব্রিজ নির্মাণ, বাগআচড়া-বাঁকড়া সড়ক নির্মাণ, বাঁকড়া বাজার-খোর্দ্দ বাজার সড়ক নির্মাণ, দরগাডিংগী-শিমুলিয়া মুকুন্দপুর সড়ক নির্মাণ, শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের দ্বিতল ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড ঝিকরগাছা উপজেলায় ২৪৩২ লাইনের ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের উন্নয়ন, রঘুনাথনগর কলেজ উন্নয়ন, কপোতাক্ষ নদের উপর বাঁকড়া বাজার ব্রিজ, কপোতাক্ষ নদের উপর উজ্জলপুর-ঝাপা ব্রিজ, শংকরপুর পরিবার পরিকল্পনা অফিস, হরিদ্রাপোতা হাইস্কুলের ভবন, বোধখানা দাখিল মাদ্রাসা, বাঁকড়া হাইস্কুলের একটি ভবন, বাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মাটিকোমরা হাইস্কুলের ভবন, সোনাকুড় জাকারিয়া দাখিল মাদ্রাসার উন্নয়ন, মুকুন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, মুকুন্দপুর মাদ্রাসা, মাটশিয়া হাইস্কুল, মহেশপাড়া, হাজিরবাগ ও বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তিনি উপজেলার অসংখ্য হাইস্কুলের নতুন ভবনসহ বিভিন্ন কাঁচা ও পাকা রাস্তা, ছোট বড় অসংখ্য ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।
বন্দরনগরীকে অবকাঠামো গড়ে উঠে ছিলো তরিকুলের হাত ধরে
 শিল্প বাণিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়া তথা অভয়নগরের উন্নয়নেও তরিকুল ইসলামের ভুমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নে তরিকুল ইসলামে অবদান এখনো অকপটে স্বীকার করেন অভয়নগরবাসী। ১৯৯৪ সালের ১৬ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বপালনকালে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন ঘটানোর জন্য সারাদেশে সরাসরি ডায়ালিং (ডিএনডাব্লিউডি) পদ্ধতির উদ্বোধন করেন তিনি। ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট নওয়াপাড়ায় নবনির্মিত পৌর ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও অভয়নগরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য তালতলা টু টেকারঘাট সড়ক আমতলা থেকে পেড়ুলি সড়কের উদ্বোধন করেন। নওয়াপাড়া কলেজের বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ, নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন করন, ভবদহ কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ, ইছামতি পল্লিমঙ্গল কলেজের এমপিও, রানাগাতী স্লুইস গেট নির্মাণ, চেঙ্গুটিয়া, সুন্দলী, রাজঘাট কলেজিয়েট স্কুলের ভবন নির্মাণ, হিদিয়া, ঘোড়াদাড়ি, বাকারডাঙ্গা, গ্রামতলা প্রাইমারী স্কুল ভবন নির্মাণে নগদ টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন তিনি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন জননেতা তরিকুল ইসলাম, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩০ বেড থেকে ৫০ বেডে উন্নীতকরণ। এ ছাড়াও পায়রাবাজার খাদ্য গুদাম ভবন নির্মাণ, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল, মসাজিদ, মন্দির, ব্রিজ কালভার্টসহ ছোট বড় শতাধীক স্থাপনা নির্মাণ করেন। তার নেয়া নানামুখি উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ অভয়নগরকে বিশেষাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। অভয়নগরবাসীর অভিমত জননেতা তরিকুল ইসলাম তার কাজের মাধ্যমে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
দৃশ্যমান অবকাঠামো উন্নয়নের স্মৃতি আজও ভোলেনি শার্শা-বেনাপোলবাসী
 প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী জনন্দিত জননেতা তরিকুল ইসলাম বিএনপি সরকারের শাসনামলে শার্শা উপজেলার অবকাঠামো উন্নয়নের দৃশ্যমান স্মৃতি আজও মানুষ ভোলেনি। তরিকুল ইসলামের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮০ টি গ্রামের বিভিন্ন সেতু, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, রাস্তাঘাট উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আজও চোখে পড়ার মত। যা এখনো শার্শা উপজেলার সাধারন মানুষের মাঝে স্মরণীয় স্মৃতি হিসেবে রয়ে আছে। তরিকুল ইসলাম শার্শার উন্নয়নে যে সব ভূমিকা রেখেছেন এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাভারণ থেকে উত্তর শার্শার নিজামপুর হয়ে গোড়পাড়া, সাড়াতলা, পাকশি হয়ে কাশিপুর রাস্তা। শার্শার জামতলা থেকে বালুন্ডা হয়ে গোড়পাড়া, গোগার রাস্তা, বাগআঁচড়া থেকে চালিতাবাড়িয়া, কায়বা, ভবানিপুর হয়ে রুদ্রপুর রাস্তা, সাতমাইল থেকে বসতপুর, আমলা, সেতাই হয়ে গোগা রাস্তা। বেনাপোল থেকে বোয়ালিয়া হয়ে শাখারীপোতা-বাহাদুরপুর রাস্তা, ছোটআঁচড়া থেকে বারোপোতা, পুটখালী, ভুলোট, গোগার রাস্তা। এ ছাড়া সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক ছোট বড় অনেক রাস্তা তৈরি হয়েছে। যা আজও সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে রেখেছে। এ ছাড়াও শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মান, শার্শা উপজেলা কলেজ স্থাপন, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড শার্শা উপজেলায় ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, পাকশিয়া পাবলিক লাইব্রেরি সংস্করণ, পাকশিয়া পোস্ট অফিস ভবন নির্মান, শার্শা উপজেলায় অডিটোরিয়া, বেনাপোল পর্যটন মোটেল ভবন, বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন উল্লেখ যোগ্য।
এছাড়া তরিকুল ইসলাম শার্শা উপজেলার অসংখ্য হাইস্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গির্জায় অনুদান দিয়েছেন। নির্মাণ করেছেন ছোট বড় অসংখ্য ব্রিজ, কালভার্ট। তিনি আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শার্শার উন্নয়নে যুব উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, হাস-মুরগি গবাদিপশু পালনসহ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। শার্শার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা প্রদানে উপকার ভোগীদের প্রাপ্য নিশ্চিত করতে দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে ছিলেন আন্তরিকভাবে সচেষ্ট।
 
 