বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে যশোরে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
শনিবার বিকেলে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জেলা জামাতে ইসলামীর আয়োজনে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। স্মরণসভায় জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেলেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নানানভাবে পাঁয়তারা করছে। ফ্যাসিবাদ ও অধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় শহীদ হাদিকে জীবন দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, হাদি মরে নাই, লক্ষ হাদি জন্ম হয়েছে।
হাদির রক্তের কসম ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমরা জীবন দিয়ে সংগ্রাম করবো। সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপত্র শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই বিপ্লবের এক নির্ভীক যোদ্ধা।
২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক। ওসমান হাদি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে আছেন। তার মৃত্যুতে সারাদেশের মানুষ শোকাহত।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এক হাদিকে হত্যা করে দেশের লাখ লাখ হাদিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, অনতিবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সমাবেশে যশোর-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের বলেন, ‘শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায় দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন কণ্ঠস্বর। তিনি জীবন দিয়ে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
তার জনপ্রিয়তা ও প্রতিবাদী ভূমিকা সহ্য করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড শুধু একজন মানুষকে নয় বরং ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা, জেলা অফিস সেক্রেটারি নূরে আলী আল মামুন, শহর সভাপতি ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নিহত শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান।

